Amarendra sen

কবিতা - বৈষম্যের আদিম সমর্থন

Amarendra sen

সৃষ্টির শুরু থেকেই বলশালী আর বলহীন এই ভেদ,
কারণ আছে নিশ্চই- একদিন জানা যাবে-যদিও নির্বেদ
মূল্যহীন খেদ;একটি মাটির বড় ডেলা ছোটর ওপরে-
চাপিয়ে দিলেই ক্ষুদ্র চূর্ণ বিচূর্ণ মুহূর্তেই- বড়োর ভরে ;
না চাইলেও বিনা ইচ্ছায় শুধু ভরে ক্ষুদ্র যেটা চূর্ণ হয়–
যদিও আকার শুধু ছোট বড়োর প্রমান নয়কো সবেতে
বামন তারা কোটি কোটি সূর্যকে পারে নিমেষেই চুষে খেতে;
এটাই নিয়ম বোলে জেনেছে যারা বিজ্ঞান লেখাপড়া করে-
ভেতরের বন্ধনের আত্মিক অনুশক্তির তারতম্য ঠিক
মেপে দেয় সব বড়ো ছোট মাটির ডেলার শক্তির প্রতীক।
আদিম নিয়ম স্বতঃস্ফূর্তভাবে সঞ্চারিত, সৃষ্টির শুরুতে ?
তবে স্রষ্টা কি ত্রিলোকে সবারেই দেখেছেন তিন ভিন্ন চোখে ?
নিজের পাওয়া শক্তি নিয়ে বেড়াই অনন্ত কাল ক্ষয়ে ক্ষয়ে
মিশে যায় বিন্দুতে যেখান থেকে হয়েছিল শুরু কাল বয়ে
নিউটনের অনুভব জ্ঞান বন্যা প্রিন্সিপিয়ার গাল হয়ে –
কখনো মনে হয় সব সমান হলে তবে কিরকম হতো ?
যদি চাঁদ পৃথিবী সূর্য সমান হতো সব মানুষ এক হতো ?
মহাবিশ্বের পার্মুটেশন কম্বিনেশনও কি গুলিয়ে যেত ,
রাজা প্রজা এক হতো হার মাংসের দামও সমান দিতো ,
জন্তুর দলে নিয়ম শক্তিশালী গোষ্ঠীপালি দুর্বলের নেতা;
অনুসরণ কর নয়তো কেটে পর,বড়ো তারা গিলে খায়
সুন্দর নীল আকাশে, যদি ছোট তারা ভুল করে পাশে আসে,
কৃষ্ণগহ্বর যাকে পায় তাকেই গিলে খায় তীব্র আকর্ষণে
মানুষ বুদ্ধি দিয়ে ছড়ি ঘুরায়- উৎস আছে তার মনে ,
হয়তো আরো কিছু আছে আকর্ষণ-বামন নেপোলিয়ান
ফরাসির নয়নের মণি কত প্রাণ আজো তার তরে কাঁদে
হাতের পুতুল ফারাও ক্লিওপেট্রার রূপের মোহিনী ফাঁদে।
জড়ের শক্তি বাধা অ্যাটমিক নম্বরে বুদ্ধি তাই নড়বড়ে
বুদ্ধি নামে অতি শক্তি দিয়ে মানুষ জড়কে নিয়ন্ত্রণ করে,
মানুষের শক্তি শুধু ভরে নয় মন বুদ্ধি আর চেতনায়-
সুন্দরী নারীরাতো শারীরে শক্তিহীন-রূপ লাবণ্যে অসীম
শক্তির আধার- শরীরের আবেদন এক মহাশক্তি জাল
একজন স্বৈরচারি প্রতাপীও হয়ে যায় পালিত বেড়াল ।
মানুষের শরীরে নয় অবয়বে শক্তি অন্তরেতো অসীম ,
বিশ্বামিত্র মেনকার রূপে শক্তিহীন দাস ধ্যানে মহাপ্রাস,
ব্রহ্মণ্ডে বড়ো ছোটোকে গিলে খেতে পারে অনায়াস-
কিন্তু আকারে হোক কিংবা মনের ভেদ করে শক্তির ফের
আদিম সমর্থন বড়ো ছোটোর মানুষ প্রাণী জীবের জড়ের ।

পরে পড়বো
১৬০
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন