আমি : বাঁচতে চাই। আমার মনের সব অভিলাষ গুলো অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে। এতো বাধা পাচ্ছি
যে কখনো মনে হচ্ছে বেচে থাকাটাই অর্থহীন। মনে হচ্ছে কিছুই করতে পারছি না।কিছুই
হচ্ছে না জীবনে।
মন : সবাই যেভাবে বাঁচে তোমাকেও সেভাবেই বাঁচতে হবে।
আমি : মনে হয় বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া অনেক ভালো।
মন : তুমি মরে গেলে গোটা পৃথিবীটা কাঁদবে না তোমার জন্যে। হ্যাঁ কিছুদিন হয়তো যারা
তোমাকে খুব ভালোবাসে তারা দুঃখ পাবে, কাঁদবে কিন্তু ধীরে ধীরে তারাও পৃথিবীর নিয়ম
মেনে নেবে। ধীরে ধীরে তোমায় ভুলে আবার বাঁচার লড়াই করবে যেমন তুমি আজ
করছো।
আমি : এবাবে বেঁচে থেকে লাভ কি ?
মন : দেখো এভাবে বেঁচে তোমার মনে হচ্ছে বেঁচে থাকাটা অর্থহীন। কিন্তু যখন মরার সময়
আসে তখন কিন্তু মানুষ শত কষ্টেও বেঁচে থাকতে চায়। যার গোটা শরীর অসার সেও
বেঁচে থাকতে চায় , যায় হাত পা নেই সেও বেঁচে থাকতে চায় , যে সারাদিনে আধপেট
খেতে পায় সেও বাঁচতে চায় , আবার যার জীবনে একটা সাধারণ ঘরে শুয়ে ঘুমানোটা
একটা স্বপ্ন সেও বেঁচে থাকতে চায়। আবার যার যারা কাছে পয়সার কোনো মূল্য নেই
এতো পয়সা আছে যে যেকোনো জিনিস পেতে পারে কিন্তু তবুও তার সব ইচ্ছে কিন্তু
কোনোদিন পূরণ হয়না সেও তার ইচ্ছেকে অনুসরণ করে সুখী হওয়ার চেষ্টা করতে করতে
একদিন অপূর্ণ ইচ্ছা কিন্তু অগাধ পয়সার মালিক হয়ে মারা যায়।
আমি : আচ্ছা তাহলে প্রকৃত অর্থে বাঁচা কি? জীবনের ইচ্ছেই যদি পূরণ না হলো তাহলে বাঁচা
কি ? সারা জীবনে মানুষ কেন এতো কষ্ট করে ?
মন : ইচ্ছা পূরণ মানে কিন্তু আকাশের চাঁদ পাওনা নয়।সেই অর্থে ইচ্ছে কোনোদিনই পূরণ
হয় না। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে সামন্জস্য করে যে বেঁচে থাকাটাই অপেক্ষাকৃত সুখী
জীবন ।
আমি : সুখ কাকে বলে ?
মন : তুমি যখন যে অবস্থায় আছো সে অবস্থাতেই তৃপ্ত থাকলে তুমি সুখী। আরো কিছু না
চেয়েও তুমি যেভাবে আছো তাতে তুমি তৃপ্ত সেটাই সুখ। আর চেয়ে না পাওয়াই দুঃখ।
আমি : তাহলে তো জীবনে স্থবির। কেন কাজ কর্মে মানুষ মন দেবে কেন ? কষ্ট করবে ?
যা আছে তাই নিয়ে বসে থাকবে , যার পেটে ভাত নেই সে হেসে হেসে অনাহারে মরে
যাবে।
মন : সেটা তো প্যাসিভ নিষ্ক্রিয় জীবণ। কিন্তু জীবণ মানেই হচ্ছে ক্রিয়াশীল সত্তার ক্রমম্মতি।
আমি : সেটা কি ?
মন : তোমার যে কারণে পৃথিবীতে আসা সেই কারণটি জেনে ক্রমান্যতিতে তার লক্ষে পৌঁছানোই জীবণ ।

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
২৬৯
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন