কি ভাবছো তুমি অপরূপা-
চিরদিনতো রয়ে গেলে অধরা ,
খুশি হতে চেয়েছিলাম শুধু তোমার ছোঁয়া টুকু নিয়ে-
আমি যে ধূলি মলিন কায়া লিপ্সু নর ,
হারিয়ে গেছি কবে সেই-পৃথিবীকে সব টুকু দিয়ে ,
হয়নি পূরণ স্বপ্ন যদিও বাঁধিবার ঘর
এই দেহের মাঝে অবিনশ্বর ।
তোমার জ্যোৎস্নার মতো অপার্থিব রূপ-
বোধহয় এঁকে দিয়েছিলো স্বর্গের দূত,
স্বর্ণপ্রভা তনু আনিত ডাকিয়া সদা অতনু ;
আকাশ ছারিয়া দেখিত সুদূর নীহারিকা
তোমার সুন্দর আঁখি দুটি –
মাটির অপরাজিতা চাহিত হইতে তোমার সখি
দিনের প্রাতে শাখাতে উঠিয়া ফুটি।
সেই কবে আমার মিটে গেছে সব চিহ্ন মলিন ধরার-
ভাবছিলাম আজ অপরূপা- তুমি কোথায় ?
যে পথ দিয়ে তুমি যেতে –
প্রবল পার্থিব ইচ্ছা উঠতো মেতে
আজো আসে ক্ষীণ মনে
লুপ্ত হৃদয়ের কোণে কোণে।
যেই সুতনু বুকে মাথা রেখে তোমার
স্বর্গের চাদ উঠতো জেগে হৃদয়ে আমার ,
উঠেছে জেগে চারা লতা ঘাস –
বসন্তের বাতাস এসে করে হাহুতাশ ,
আর আঁখির\’পরে শুধু নীলাকাশ।

৫০
আবৃত্তি করেছেন:
অ ম রে ন্দ্র সেন
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন