Profile Picture
লেখকের নাম -

জীবনানন্দ দাশ

জন্ম তারিখ: শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৯

জন্মস্থান: বরিশাল, বাংলাদেশ

পরিচিতি: জীবনানন্দ দাশ, ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম। তার কবিতায় পরাবাস্তবের দেখা মিলে। জীবনানন্দের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী। মৃত্যুর পর থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগে তিনি জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেন এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে যখন তাঁর জন্মশতবার্ষিকী পালিত হচ্ছিল, ততদিনে তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় কবিতে পরিণত হয়েছেন।

জীবনানন্দ দাশ'এর কবিতা সমূহ

এখানে প্রকাশিত কবিতার সংখ্যা: ১৫১

কবিতার শিরোনাম মন্তব্য
আমি কবি—সেই কবি
সেদিন এ-ধরণীর
বাংলার মুখ
হিমের কুয়াশা নাকে
হয়তো বা কোনো দূর পিরামিড দেখা যাবে
স্ট্রেচারের ‘পরে শুয়ে কুয়াশা ঘিরিছে বুঝি
সেদিন—সারাটা দিন—অনেক শ্মশানে
সূর্যের আলো মেটায় খোরাক কার
সান্ত্বনার কথা ঢের ভাবা গেছে আঁধার রভসে
সময়কে ধরে রাখা মহা দায়
রজনীর অন্ধকার এইরকম
যেন কোনো যাদুঘরে ঘুমায়েছে
যারা মরে গেছে তাহাদের কথা ভেবে
যদিও রয়েছি বেঁচে
মনে হয় হেমন্তের জ্যোৎস্নায়
মনে হয় যেন মূল চাহুনিতে দিনরাতগুলো ছেঁকে
প্রেম কি জাগায় সূর্যকে আজ ভোরে
প্রথম যৌক্তিক জন্ম নিল
না জানি কী সব মঙ্গলের দিকে চেয়ে
তখন সকল প্রেম মরে যাবে
ঢের দূর থেকে বন্ধুজনারে চেনা যায়
ঢের কবি মরে গেছে সচকিত হয়ে যেন নিশীথের ভূতের মতন
জীবনের সাথে আমাদের রূঢ় পরিচয় হয়েছিল
কোথাও নতুন বুদ্ধের যেন জন্ম হয়
কোথাও অনেক দূর যেতে হবে
কৃষ্ণ যজুর্বেদ যারা রচেছিল একদিন
কালো মখমল দস্তানার মতো ধীরে ধীরে আসে
কবে চণ্ডীদাস মরে গেছে
ওইখানে বনানীর তৃণ
এইখানে কাকজ্যোৎস্না
এই নগরীর সেই সব শতাব্দীর ধূসর পরিখা কই
এই এত পুরোনো নগরী
আমিও তো মশাল ধরেছি
আমার হৃদয়ে রক্ত থেকে কোনো এক প্রদীপকে জ্বালি আমি
আমার হৃদয়ে প্রেম কার্তিকের বটের মতন
আমার হৃদয়ে নব নব প্রত্যাশার দূত
আমাদের সাহস হারায়ে গেছে বহুদিন
আমাদের প্রভু বীক্ষণ দাও
আমাদের অশ্রু শিশিরিত হলুদ পাতার থেকে নয়
আবার নতুন করে পৃথিবীরে বানাবার অধিকার আমাদের নেই
অমোঘ আঁধার রাতে
অন্ধকারে আমাদের ইন্দ্রনীল খুঁড়িতেই পাওয়া গেল
অনেক বেসেছি ভালো
ঝরা ফসলের গান
কোহিনূর
কবি
আদিম
আঁধারের যাত্রী
অলকা
অন্য এক প্রেমিককে