দ্বিতীয় চিৎকার
ভাস্কর চক্রবর্তী
হাস্যকর তোমার অতীত—হাস্যকর তোমার ভবিষ্যৎ
পুরোনো মুখগুলো তোমার থেকে সরে যাচ্ছে আরও তোমার পিছন দিকে
ঘুম থেকে উঠে, তোমার জন্যে উনুনে-সেঁকা পাঁউরুটি কোনোদিন
আর খবরের কাগজ, আর রাতদিন
শুকনো ঘাসের ওপর তুমি ওলোট-পালোট খাচ্ছো শুয়ে শুয়ে
জামার হাতায়, মুছে নিচ্ছো মুখের তেজস্ক্রিয় ঘাম
ঘটনাহীন ঘটনাহীন মস্তো ঘটনাহীন তোমার জীবন
কফির কাপে, মিছেই তুমি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছো তোমার ব্যগ্র চামচ
তোমার মাথার ওপর চিরপুরাতন, সেই এক, পতনোন্মুখ চাঁদ
এই সেদিন তোমার জ্বর হলো খুব
এই সেদিন তুমি ঘুরে এলে এক অজ পাড়া-গাঁ থেকে—
এক কুশ্রী মহিলা একুশদিন তোমাকে তিরস্কার করেছে প্রত্যেক সন্ধেবেলা
এক শুয়োর এই সেইদিন তোমাকে অপমান
করেছে, তোমার আত্মা, লম্বা জুতোর চেয়েও আরও লম্বা হয়ে গেছে হঠাৎ—
সমস্ত রাস্তা জুড়েই সাদা বিছানা পাতা তোমার জন্যে
তোমার বিছানার পাশে, তোমার জন্যেই, ডাকবাক্সহীন তিনহাজার
অর্ধশায়িত ডাকঘর—তুমি
কলকাতায় ঘুরতে দেখেছো চিতাবাঘ—দেখেছো বাঁদর
বছরের প্রথম দিনেও তুমি ঘুরে বেড়িয়েছো একা একা
বছরের শেষ দিনেও তাই
রুপোর এক যীশু একসময় মশারীর মতো টাঙানো ছিলো তোমার ঘরে
ফুটবল হাতে, ছাদময় তুমি দৌড়ে ফিরেছো এক দীর্ঘসময়—
সবুজ গাছে গাছে বিষণ্ণ আতাফলের মতো তুমি—
বিশাল হোটেলের নিচে, তুমি
দাঁড়িয়ে থেকেছো কতোরাত-কতোরাত ঘরে ফেরা হয়নি তোমার—
তোমার পিছনে জ্বলন্ত হ্যারিকেন আর তীক্ষ্ণ বর্ণা—মাঝরাতে
হাতে চিঠি তোমার দু’অক্ষরের
মাঝরাতে তুমি ছুটে গিয়েছো নিজের কাছে খুন করতে নিজেকে
দেখতে দেখতে শ্রাবণমাস এসে গ্যালো আরেকবার
তোমার দরজা পর্যন্ত এগিয়ে এলো এইবছর এক হলুদ মুখোশ—
এইবছর আবার বৃষ্টি হবে খুব
এইবছর বাবুদের বিছানায় লাফিয়ে উঠবে আবার, সোনালি মাছ—
ঘুম ঘুম ঘুমের জন্যে তুমি ছুটে বেড়ালে অনেক
রান্নাঘরের আলোয় তুমি লিখে ফেললে কবিতা, তোমার কবিতা হারিয়ে গ্যালো
রান্নাঘরের আরও অনেক ভেতরে—ফাঁকা দুপুরে
তোমার জন্যে নয় ছিমছাম জানালা, নয় ইজিচেয়ার, নয় এলিয়ে পড়া সুখ
বিছানা-বালিশ ভেদ করে ঐ জেগে উঠছে তোমার থলথলে পাজামা
ঐ ঢুকে পড়ছো ঐ বেরিয়ে পড়ছো তুমি, নির্জন বাথরুম থেকে
পুরোনো মুখগুলো তোমার থেকে সরে যাচ্ছে আরও তোমার পিছন দিকে
ঘুম থেকে উঠে, তোমার জন্যে উনুনে-সেঁকা পাঁউরুটি কোনোদিন
আর খবরের কাগজ, আর রাতদিন
শুকনো ঘাসের ওপর তুমি ওলোট-পালোট খাচ্ছো শুয়ে শুয়ে
জামার হাতায়, মুছে নিচ্ছো মুখের তেজস্ক্রিয় ঘাম
ঘটনাহীন ঘটনাহীন মস্তো ঘটনাহীন তোমার জীবন
কফির কাপে, মিছেই তুমি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছো তোমার ব্যগ্র চামচ
তোমার মাথার ওপর চিরপুরাতন, সেই এক, পতনোন্মুখ চাঁদ
এই সেদিন তোমার জ্বর হলো খুব
এই সেদিন তুমি ঘুরে এলে এক অজ পাড়া-গাঁ থেকে—
এক কুশ্রী মহিলা একুশদিন তোমাকে তিরস্কার করেছে প্রত্যেক সন্ধেবেলা
এক শুয়োর এই সেইদিন তোমাকে অপমান
করেছে, তোমার আত্মা, লম্বা জুতোর চেয়েও আরও লম্বা হয়ে গেছে হঠাৎ—
সমস্ত রাস্তা জুড়েই সাদা বিছানা পাতা তোমার জন্যে
তোমার বিছানার পাশে, তোমার জন্যেই, ডাকবাক্সহীন তিনহাজার
অর্ধশায়িত ডাকঘর—তুমি
কলকাতায় ঘুরতে দেখেছো চিতাবাঘ—দেখেছো বাঁদর
বছরের প্রথম দিনেও তুমি ঘুরে বেড়িয়েছো একা একা
বছরের শেষ দিনেও তাই
রুপোর এক যীশু একসময় মশারীর মতো টাঙানো ছিলো তোমার ঘরে
ফুটবল হাতে, ছাদময় তুমি দৌড়ে ফিরেছো এক দীর্ঘসময়—
সবুজ গাছে গাছে বিষণ্ণ আতাফলের মতো তুমি—
বিশাল হোটেলের নিচে, তুমি
দাঁড়িয়ে থেকেছো কতোরাত-কতোরাত ঘরে ফেরা হয়নি তোমার—
তোমার পিছনে জ্বলন্ত হ্যারিকেন আর তীক্ষ্ণ বর্ণা—মাঝরাতে
হাতে চিঠি তোমার দু’অক্ষরের
মাঝরাতে তুমি ছুটে গিয়েছো নিজের কাছে খুন করতে নিজেকে
দেখতে দেখতে শ্রাবণমাস এসে গ্যালো আরেকবার
তোমার দরজা পর্যন্ত এগিয়ে এলো এইবছর এক হলুদ মুখোশ—
এইবছর আবার বৃষ্টি হবে খুব
এইবছর বাবুদের বিছানায় লাফিয়ে উঠবে আবার, সোনালি মাছ—
ঘুম ঘুম ঘুমের জন্যে তুমি ছুটে বেড়ালে অনেক
রান্নাঘরের আলোয় তুমি লিখে ফেললে কবিতা, তোমার কবিতা হারিয়ে গ্যালো
রান্নাঘরের আরও অনেক ভেতরে—ফাঁকা দুপুরে
তোমার জন্যে নয় ছিমছাম জানালা, নয় ইজিচেয়ার, নয় এলিয়ে পড়া সুখ
বিছানা-বালিশ ভেদ করে ঐ জেগে উঠছে তোমার থলথলে পাজামা
ঐ ঢুকে পড়ছো ঐ বেরিয়ে পড়ছো তুমি, নির্জন বাথরুম থেকে
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ২৮৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন