লিখতে পারতাম –
সুন্দর করে শুনে-বুঝেই লিখতে পারতাম,
সমাদরে ক’টা পুষ্প অর্পণ করে নির্জনে রয়েও পলাশ
নিজ নাম জারি করে বাসন্তী খতিয়ানে।

একটা আকাশ ছিলো আমার,
ভীষণই সুন্দর হিম হিম বৈকালী!
নিত্য ডানা মেলে এক চিল উড়তো সেখানে –
সোনালী রৌদ্রস্নানে।
না জন্মিলে এই রূপবতী বঙ্গে
হয়তো জানতেই পারতাম না –
শ্যামলা বাটের দেয়া অপেক্ষার প্রহর
কতো সহজে গড়তে পারে বিশ্ব বরেণ্য তাজমহল।
তারপর …

পারি না –
অমন করে লিখতে পারি না আজ
উৎসাহী হয়ে উঠে না সেই কলমের নিব
বাক্যহারা পলাশ আর বিবশ চিলের আহাজারি
চিরতরে যেন কেড়ে নিয়েছে অপেক্ষার প্রহর।
তবুও লিখি …
প্রতিদিন …
অভ্যাস বশত নয় –
কেউ একজন দায়িত্ব দিয়ে গেছে বলে লিখার –
’পুচ্ছ হারা ইলিশের সমুদ্র ভ্রমণের পাণ্ডুলিপি!’

১৯৪
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন