অনন্ত প্রহরের এপার-ওপার
জালাল উদ্দিন রুমি
সৌন্দর্য তার সমাঙ্গ অধিরূপকে রাখে অনস্তিত্বের অসীম নীরবতায়।
সততই সে তার মুখাবয়বের দিকে ধরে রাখে একটি আয়না,
এবং সেই আয়নার অন্তরে আগলে রাখে তার সৌন্দর্যকে।
সবকিছুই তার জানা এবং তিনিই সর্বজ্ঞ।
তিনি সবকিছুই জানেন এবং জানিয়ে দেন সবাইকে।
তিনি সবকিছুই দেখতে পান
এবং প্রদান করেন ভবিষ্যৎবাণী।
তার চোখ ব্যতিরেকে কোনো চোখই
আজ অবধি এই ব্রহ্মাণ্ডের দিকে তাকায়নি।
তার দক্ষতার প্রতিটি প্রকোষ্ঠেই অন্বেষিত থাকে একটি সুনিপূণ প্রকাশভঙ্গি।
অনন্তকাল, মূলত সময় ও স্বাধীনতার এক সবুজ শ্যামলিমা মাখা তৃণভূমি;
আর সে বাগানের প্রতিটি তরুশাখা, পত্রপল্লব এবং ফলমূল,
মানুষের দৃষ্টির দুয়ারে প্রজ্জ্বলিত করে রাখে তার প্রত্যাশার বিশুদ্ধতাকে।
তার রাজকীয় ক্ষমতার ইঙ্গিত প্রদান করে সাইপ্রেস বৃক্ষ,
এবং তার সৌন্দর্যকে সকল তথ্য প্রদান করে বৃক্ষের সুবাসিত গোলাপ।
সৌন্দর্য যখনই তাকায়,
ভালোবাসা তখনই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়।
যখনই সৌন্দর্য তার গোলাপী গণ্ডদেশ প্রদর্শন করে,
তখনই ভালোবাসা উদগীরণ করে আনে আলোকরশ্মি তার অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে।
যখনই সৌন্দর্য বাস করে ঘনঘোর রাত্রির ভাঁজে,
বিনুনীর মতো জট পাকিয়ে তখনই ভালোবাসা আসে
এবং খুঁজে নেয় একটি হৃদয়।
প্রকৃতপক্ষে, সৌন্দর্য এবং ভালোবাসা হলো দেহ ও আত্মার মতো।
সৌন্দর্য হলো খনি আর ভালোবাসা হলো এক টুকরো হীরে।
প্রাগৌতিহাসিক কাল থেকেই এরা একসাথে আছে
আছে পাশাপাশি, আছে নিবিড় অন্তরঙ্গতায়।
(অনুবাদ করেছেন - মনজুরুল ইসলাম)
সততই সে তার মুখাবয়বের দিকে ধরে রাখে একটি আয়না,
এবং সেই আয়নার অন্তরে আগলে রাখে তার সৌন্দর্যকে।
সবকিছুই তার জানা এবং তিনিই সর্বজ্ঞ।
তিনি সবকিছুই জানেন এবং জানিয়ে দেন সবাইকে।
তিনি সবকিছুই দেখতে পান
এবং প্রদান করেন ভবিষ্যৎবাণী।
তার চোখ ব্যতিরেকে কোনো চোখই
আজ অবধি এই ব্রহ্মাণ্ডের দিকে তাকায়নি।
তার দক্ষতার প্রতিটি প্রকোষ্ঠেই অন্বেষিত থাকে একটি সুনিপূণ প্রকাশভঙ্গি।
অনন্তকাল, মূলত সময় ও স্বাধীনতার এক সবুজ শ্যামলিমা মাখা তৃণভূমি;
আর সে বাগানের প্রতিটি তরুশাখা, পত্রপল্লব এবং ফলমূল,
মানুষের দৃষ্টির দুয়ারে প্রজ্জ্বলিত করে রাখে তার প্রত্যাশার বিশুদ্ধতাকে।
তার রাজকীয় ক্ষমতার ইঙ্গিত প্রদান করে সাইপ্রেস বৃক্ষ,
এবং তার সৌন্দর্যকে সকল তথ্য প্রদান করে বৃক্ষের সুবাসিত গোলাপ।
সৌন্দর্য যখনই তাকায়,
ভালোবাসা তখনই সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়।
যখনই সৌন্দর্য তার গোলাপী গণ্ডদেশ প্রদর্শন করে,
তখনই ভালোবাসা উদগীরণ করে আনে আলোকরশ্মি তার অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে।
যখনই সৌন্দর্য বাস করে ঘনঘোর রাত্রির ভাঁজে,
বিনুনীর মতো জট পাকিয়ে তখনই ভালোবাসা আসে
এবং খুঁজে নেয় একটি হৃদয়।
প্রকৃতপক্ষে, সৌন্দর্য এবং ভালোবাসা হলো দেহ ও আত্মার মতো।
সৌন্দর্য হলো খনি আর ভালোবাসা হলো এক টুকরো হীরে।
প্রাগৌতিহাসিক কাল থেকেই এরা একসাথে আছে
আছে পাশাপাশি, আছে নিবিড় অন্তরঙ্গতায়।
(অনুবাদ করেছেন - মনজুরুল ইসলাম)
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ২২৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন