অজিতদা রহিমা বেগমের ঘরে ঢুকেই যেনো মনে মনে কাউকে খুঁজছিলেন।কাকে খুঁচজছিলেন,না বলে,বললেন: Congratulations on your brilliant success।
রহিমা বেগম বললো – দাদা কি যে বলেন।এই সফলতার কৃতিত্ব তো আপানার।আপনার কারণেই তো আজ এ পর্যন্ত আসা।
আরে কি যে বলো তুমি।এভাবে বললে লজ্জা পাই। আসলে আমাদের মাথার উপরে আছেন মহামান্য অধীশ্বর।সবই তার কৃপা।
অজিতদা ফ্রেস হয়ে জল খাবার খাচ্ছেন আর রহিমা বেগমের পরবর্তী কর্মসূচি বুঝিয়ে বলছেন।পরিকল্পনা শুনে রহিমা বেগম খুব উত্তেজিত।সে বুঝতে পারছে এবারের অপারেশন সফল হলে তার রাস্তা আজীবনের জন্য পরিষ্কার। রহিমা পারে তো খুশিতে চিৎকার দিয়ে ওঠে কিন্তু তা তো আর সম্ভব নয়।চিৎকার না দিয়ে সে অজিতদাকে বলে- দাদা, আপনি তাহলে এবার বিশ্রাম করুন।আপনার দেবী একটু পরেই আপনার পুজো নেবার জন্য হাজির হবে।
অজিতদা ‘বড্ড বেড়ে বলেছো’ বলে হো হো করে হাসতে হাসতে তার উদ্দেশে সাজানো কক্ষে চলে গেলেন।
রহিমা মনিষাকে ডেকে বললেন- আজ দাদার ঘরে গোলাপী নাইটিটা পরে যা।
মনিষা গোলাপী নাইটি পরে অজিতদার কক্ষে প্রবেশ করলো।অজিতদা আগের বারের মতোই একটি পত্রিকায় চোখ বুলাচ্ছেন।সেই পত্রিকা যার অক্ষরগুলি বাংলাতে নয়।অজিতদা মনিষাকে দেখে হেসে বললেন- কেমন আছো টুক্কু সোনা?
জ্বি ভালো।আপনি ভালো আছেন?
-নিশ্চয়ই ভালো আছি।আহা দাঁড়িয়ে কেনো।বোসো বোসো।আমার কলিজায় এসে বোসো।
মনিষা খাটের কাছে যে চেয়ারটি সেখানে জড়োসড়ো হয়ে বসলো।
-আরে আমার টুক্কু সোনা লজ্জা পাচ্ছো নাকি!ওখানে কেনো,খাটে এসে বসো।
মনিষা খাটে এসে বসলো।মনিষা আজ একটু অপ্রস্তুত।২ দিন হলো তার মাসিক চলছে।এ অবস্থায় সে মেন্টালি ইজি নয়।কিন্তু তার যে কোনো বিকল্প নেই।সে হলো কৃতদাসের চেয়েও অধিক কৃতদাস।তার শরীরের উপর তার কোনো অধিকার নেই।সব অধিকার রহিমা বেগম যাকে দিবেন,তার।
অজিতদা মনিষার দক্ষিণ হাতাটা আলতো করে ধরে গালে ছুঁয়ে বলে- আহ কী আগুন কী যে মাতাল মাতাল লাগে টুক্কু আমার।
অজিতদা এইসব নকল কাব্যমার্কা কথা বলতে বলতে মনিষাকে অনাবৃত করতে করতে মনিষার কেন্দ্রবিন্দুতে আবিষ্কার করে ফেলে থোক থোক রক্ত।মনিষা আশা করেছিলো রক্ত দেখে অজিত বাবু থেমে যাবেন।কিন্তু না; মনিষার মনে হলো রক্ত দেখে বরং অজিত বাবু দ্বিগুন উল্লসিত।তার ঠোঁটে যে হাসি ফুটে উঠেছে সেই হাসি মনিষার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম কুৎসিত দৃশ্য বলে মনে হলো।মনে হলো অজিত বাবু বুঝি অনন্তকাল ধরে হেসেই চলেছেন- অশ্লীল, অশ্লীলতম হাসি।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন