গতরাতটা অজিত বাবুর দুর্দান্ত কেটেছে।রক্তে রক্তে রক্তারক্তি।তার একবার মনে হয়েছে মনিষাদেবীকে সংগে করে নিয়ে গেলে কেমন হয়!কিন্তু এসব করবার নিয়ম নেই।
ব্রেকফাস্টের টেবিলে অজিতদা বেশ ঝরঝরে বোধ করছেন।আজ রহিমাকে একটা সাংঘাতিক ও মর্মান্তিক প্ল্যান দেয়া হবে।অথচ অজিতদা খুব স্বাভাবিক ভঙিমায় কথা বলছেম।অজিতদার জন্য হয়তো এরকমটাই স্বাভাবিক।রহিমা খুব মনোযোগী শ্রোতা হয়ে শুনছে।অজিতদা বলছেন- আমাদের যে সফটওয়্যার বানানো হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে সাদা ঘোড়া লাল ঘোড়া আর একজন মানুষ।ঘোড়ার মোট সংখ্যা(উদাহরণস্বরূপ) ধরা হয়েছে ১০০।এই ১০০ ঘোড়ার উপর নির্ভর করছে পৃথিবী নামক গ্রহের একটি নির্দিষ্ট টেরিটোরির নিরাপত্তা।ঘোড়াগুলি থেকে প্রথমে রহিমাকে আইডেন্টিফাই করতে হবে কোন ঘোড়াগুলি তার স্বার্থে যে-কোনো অবৈধ আর নিষ্ঠুর কাজ করতে রাজি। এমনকি অই টেরিটোরির নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলে দিয়ে হলেও রহিমার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাবে।আর কোন ঘোড়াগুলি নিরপেক্ষ ও সৎ এবং টেরিটোরির নিরাপদ নিশ্চিতকরণে বদ্ধ পরিকর।আইডেন্টিফাই করে অসৎ ঘোড়াদের ট্যাগ দিতে হবে লাল ঘোড়া আর সৎ ঘোড়াগুলি সাদা ঘোড়া।আর তারপর সাদা ঘোড়াগুলিকে এক মাহেন্দ্রক্ষণে সরিয়ে ফেলতে হবে পৃথিবী নামক এক নীল গ্রহ থেকে চিরতরে।তো এই হলো সমগ্র সফটওয়্যার। বাকিটা তোমার মতো তুমি ম্যানেজ করে নেবে।বুঝেছো?
রহিমার কাছে পুরো প্ল্যানটা খুব চ্যালেঞ্জিং মনে হলো।সে টু শব্দটিও না করে শুনে যাচ্ছিলো।সে কোনোরকমে বললো- বুঝতে পারছি।
কিন্তু অজিতদার কাছে রহিমাকে কিছুটা কনফিউজড মনে হলো।অজিতদা হেসে বললেন- চিন্তার কিছু নেই।তুমি পারবে। তোমার উপর আমার বিশ্বাস আছে।আর বিশ্বাস আছে আরেকজনের উপর; বলো তো কে?
রহিমা বুঝতে না পেরে বললো- কে?
অজিতদা বললো-মনিষা দেবী।
অজিতদা আর রহিমা দু’জনেই হো হো করে হেসে উঠলো যেনো বা বিজয়ের হাসি।কিন্তু বিজয়টা আসলে কার? রহিমা বেগমের নাকি অজিতদার?
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন