মিস্টার জেন্ট মহামান্য’র নির্দেশ অনুযায়ী প্রথমে সফট মানবিক মুভি ছেড়ে ২১ মিনিট দেখেই পেপার ওয়েট ছুড়ে মনিটরটা ভেঙে ফেললো।তারপর হরর মুভি দেখে পিস্তলের গুলি ছুঁড়ে মনিটর তছনছ করে ৩৬ সাইজের তনা নামের একটি নারীর উপর বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লো।এই কক্ষে এক নারীর দ্বিতীয় বার ঢুকবার কোনো নিয়ম নেই ভেবে জেন্ট একটু আহত হলো কারণ তনাকে তার মনে ধরেছে।তনা পাকা খেলোয়াড়। মহামান্য যা যা যেভাবে বলেছেন ঠিক সেইভাবেই করতে হয় কারণ ক্যামেরা ফিট করা আছে, সবকিছুই রেকর্ডেড হয়ে যায়।
তনা চেক নিয়ে চলে যাবার পর জেন্ট মনে মনে হাসে।মহামান্য কি সাইকো নাকি! মনিটর ভাঙার সংগে পরিকল্পনার কী সম্পর্ক! মনিটর ভেঙে জেন্টের কিছুই ফিল হয় নি।ধ্যাৎ! এই সব কিছুই ভড়ং স্রেফ ভড়ং।
মাদারবোর্ড লোকটাকেও জেন্টের ভড়ং মনে হয় কিন্তু কেনো ভড়ং মনে হয় জেন্ট এখনো ঠিক আবিষ্কার করতে পারে নি।
গ্লাসে বরফকুচি ঢেলে জেন্ট এক ঢোক গলাধঃকরণ করে ৫ টি মনিটর সুইচ অন করে।৫ টি মনিটরে সে ৫ টি ইমেজ নেট থেকে নামায়।
প্রথম মনিটর: একটি মাঠের ইমেজ
দ্বিতীয় মনিটর: একটি ট্রাকের ইমেজ
তৃতীয় মনিটর: একটি ছাদের ইমেজ
চতুর্থ মনিটর: একটি জাহাজের ইমেজ
পঞ্চম মনিটর: একটি মঞ্চের ইমেজ
জেন্ট দীর্ঘ সময় ধরে ইমেজগুলির ভিতর কিছু খুঁজে চলে।জেন্টের মাথা এখন দুর্দান্ত কুল।কিন্তু কিছু খুঁজে না পেয়ে তার মাথা হট হতে শুরু করেছে।সে বেল প্রেস করে।পলল এসে বলে – ইয়েস স্যার
জেন্ট বলে – গাড়ি বের করতে বলো।
জেন্ট গাড়ি নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে চলে যায়।সৈকতে বসে সমুদ্রের ওপারে কিছু দেখতে চেষ্টা করে।কিছুই দেখা যায় না।শুধু দূরে বহুদূরে দেখা যায় একটি জাহাজের মাস্তুল।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন