বাবার আকাঙ্খা
পারভেজ আহমেদ সাগর
১৪-১০-২০২৪
ওই রুমে তর মা ঘুমাবে,
খালি থাকে ডানের রুম,
বাবা তুই ঘুমাইবি সেথায়,
রাতে দেবো ললাটে চুম।
পড়াশোনা করে বড় হবি,
গাড়ি ঘোড়া চরবি সদায়,
টাই স্যুটে কাটবে জীবন,
দামী জুতো পরবি পায়।
খালি তর ভাইয়ের জন্য,
বাম পাশের এক বড় রুম,
কোলেপিঠে মানুষ করবি,
শান্তিতে যেন হয় তার ঘুম।
সুন্দরী এক মেয়ে দেখবো,
বউ এনে দিবো বাবা তরে,
ধুমধাম করে বিয়ে করাবো,
সবাইকেই দাওয়াত করে।
পেট ভরে ভোজন করবে,
সবে দোয়া দিয়ে যাবে তরে,
আল্লাহ ঘরে সুখ দিয়ে দিবে,
দেখবো আমি প্রাণটা ভরে।
তর বিবির সোনামুখ দেখে,
মুগ্ধ হয়ে যাবে তর মার মন,
বুকে জড়িয়ে বলবে তারে,
আমার ঘরের লক্ষি রতন!
সবাই মিলে দেখবো টিভি,
ভরে থাকবে এই ড্রয়িংরুম,
খাবার টেবিলের খাবার খেয়ে,
বেডরুমে দেবো সবে ঘুম ।
আশায় থাকবে তর মামনী,
দেখতে নাতি - নাতনির মুখ,
পেটে যেদিন মানিক আসবে,
আঁচলে লুকাবে বউমা চোখ।
সেই মানিকেরে কাঁধে নিয়ে,
ঘুরে বেড়াবো সারাটা বেলা,
তর আম্মাজান বাড়িতে বসে,
দিন রাত করবে খেলা- ধূলা।
বড় হয়ে খোকা কাকার সাথে,
ঘুরে বেড়াবে বহু দূরে - দূরে!
মাঝে মাঝে সে স্কুলে যাবে,
ছুটি শেষেই আসবে ফিরে।
কদিন বাদে যুবক হয়ে যাবে,
তোর আদরের ছোট ভাই,
আবার ঘরে তার বউ আসবে,
আমার সুখের সীমানা নাই।
সবাই মিলে থাকবো সুখেই,
মিলে থাকবি তরা দুই ভাই,
শহর থেকে ছুটিতে এলেই,
সময় কাটবে মিলন মেলায়।
সকলের মুখেই হাসি ফুটবে,
আনন্দে ভাসবে সবার বুক,
দুতালার ছাঁদ থেকে রাখবো,
প্রকৃতির অমায়িক রূপে চোখ।
নাতি আমরা দোলা খাবে বসে,
ছাঁদে বসানো বড় দুলনায়,
পরিচর্যা করবি ফুল বাগানে,
পোষা পাখিরা ভাসবে হাওয়ায়।
ছুটি শেষে সবে মিলে যাবো,
শহরতলীতে বানানো বাড়িতে,
বিদায় দেবো গ্রামটাকে সবে,
বসে চার চাকা এক গাড়িতে।
শুরু হবে তোদে র ব্যস্ত জীবন,
ব্যবসা চাকরিতে সদা ঘুরাঘুরি,
নাতিদের নিয়ে ঘুড়ি উড়াবো,
ঘরে করবো সারাক্ষণ হুড়াহুড়ি।
বউমা আমাকে রেঁধে খাওয়াবে,
হরেকরকমের সাদের খাবার ;
যখন যেটা মন চাইবে আমার,
করে ফেলবো সেটাই আহার।
আজানের সময় বৌমা দিবে,
তাসবিহ,টুপি আর জায়নামাজ,
নাতিকে নিয়ে মসজিদে যাবো,
ফেলে রেখে ঘরের সকল কাজ।
সবাই মিলে ইবাদত করবো,
সুযোগে পেলেই ঘুরবো বেশ,
আশা করি ভালোই থাকবো,
থাকুক যতোই দুশ্চিন্তা-ক্লেশ।
তর মা আর আমি যদি মরে যাই,
মা'র কবরের পাশে কবর দিবি,
নামাজ পড়ে দোয়া করবি খুব,
নাতিনের মাথায় পরাবি টুপি।
বৌমাকে দিবি সংসারের দায়ভার,
কোন বিপদে আপদে পাবিনা ভয়,
প্রাণভরে তুই দোয়া করবি বাবা!
হাশরের মাঠে যেনো জান্নাত নসিব হয়।
ওই রুমে তর মা ঘুমাবে,
খালি থাকে ডানের রুম,
বাবা তুই ঘুমাইবি সেথায়,
রাতে দেবো ললাটে চুম।
পড়াশোনা করে বড় হবি,
গাড়ি ঘোড়া চরবি সদায়,
টাই স্যুটে কাটবে জীবন,
দামী জুতো পরবি পায়।
খালি তর ভাইয়ের জন্য,
বাম পাশের এক বড় রুম,
কোলেপিঠে মানুষ করবি,
শান্তিতে যেন হয় তার ঘুম।
সুন্দরী এক মেয়ে দেখবো,
বউ এনে দিবো বাবা তরে,
ধুমধাম করে বিয়ে করাবো,
সবাইকেই দাওয়াত করে।
পেট ভরে ভোজন করবে,
সবে দোয়া দিয়ে যাবে তরে,
আল্লাহ ঘরে সুখ দিয়ে দিবে,
দেখবো আমি প্রাণটা ভরে।
তর বিবির সোনামুখ দেখে,
মুগ্ধ হয়ে যাবে তর মার মন,
বুকে জড়িয়ে বলবে তারে,
আমার ঘরের লক্ষি রতন!
সবাই মিলে দেখবো টিভি,
ভরে থাকবে এই ড্রয়িংরুম,
খাবার টেবিলের খাবার খেয়ে,
বেডরুমে দেবো সবে ঘুম ।
আশায় থাকবে তর মামনী,
দেখতে নাতি - নাতনির মুখ,
পেটে যেদিন মানিক আসবে,
আঁচলে লুকাবে বউমা চোখ।
সেই মানিকেরে কাঁধে নিয়ে,
ঘুরে বেড়াবো সারাটা বেলা,
তর আম্মাজান বাড়িতে বসে,
দিন রাত করবে খেলা- ধূলা।
বড় হয়ে খোকা কাকার সাথে,
ঘুরে বেড়াবে বহু দূরে - দূরে!
মাঝে মাঝে সে স্কুলে যাবে,
ছুটি শেষেই আসবে ফিরে।
কদিন বাদে যুবক হয়ে যাবে,
তোর আদরের ছোট ভাই,
আবার ঘরে তার বউ আসবে,
আমার সুখের সীমানা নাই।
সবাই মিলে থাকবো সুখেই,
মিলে থাকবি তরা দুই ভাই,
শহর থেকে ছুটিতে এলেই,
সময় কাটবে মিলন মেলায়।
সকলের মুখেই হাসি ফুটবে,
আনন্দে ভাসবে সবার বুক,
দুতালার ছাঁদ থেকে রাখবো,
প্রকৃতির অমায়িক রূপে চোখ।
নাতি আমরা দোলা খাবে বসে,
ছাঁদে বসানো বড় দুলনায়,
পরিচর্যা করবি ফুল বাগানে,
পোষা পাখিরা ভাসবে হাওয়ায়।
ছুটি শেষে সবে মিলে যাবো,
শহরতলীতে বানানো বাড়িতে,
বিদায় দেবো গ্রামটাকে সবে,
বসে চার চাকা এক গাড়িতে।
শুরু হবে তোদে র ব্যস্ত জীবন,
ব্যবসা চাকরিতে সদা ঘুরাঘুরি,
নাতিদের নিয়ে ঘুড়ি উড়াবো,
ঘরে করবো সারাক্ষণ হুড়াহুড়ি।
বউমা আমাকে রেঁধে খাওয়াবে,
হরেকরকমের সাদের খাবার ;
যখন যেটা মন চাইবে আমার,
করে ফেলবো সেটাই আহার।
আজানের সময় বৌমা দিবে,
তাসবিহ,টুপি আর জায়নামাজ,
নাতিকে নিয়ে মসজিদে যাবো,
ফেলে রেখে ঘরের সকল কাজ।
সবাই মিলে ইবাদত করবো,
সুযোগে পেলেই ঘুরবো বেশ,
আশা করি ভালোই থাকবো,
থাকুক যতোই দুশ্চিন্তা-ক্লেশ।
তর মা আর আমি যদি মরে যাই,
মা'র কবরের পাশে কবর দিবি,
নামাজ পড়ে দোয়া করবি খুব,
নাতিনের মাথায় পরাবি টুপি।
বৌমাকে দিবি সংসারের দায়ভার,
কোন বিপদে আপদে পাবিনা ভয়,
প্রাণভরে তুই দোয়া করবি বাবা!
হাশরের মাঠে যেনো জান্নাত নসিব হয়।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১১৪ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন