আমার একলা আকাশের মুক্ত ঘুড়ি,
মুক্তির স্বাদ নিতে উড়ে বেড়ায় এখানে সেখানে,
কখনো দেখা যায় চোখের সীমানায়,
কখনো উড়ে চলে যায় বহু দূরে অজানায়,
দৃষ্টি তাকে দেখার অপারগতা জানায়!
কখনো কখনো কালো মেঘ ডেকে দেয়,
ঘুড়িটা ঘা ডাকা দিয়ে আক্ষেপ করতে থাকে,
কখনো প্রচন্ড বেগে বাতাস দোলা দেয়!
আমার ঘুড়ি খেলাচ্ছলে নৃত্যে মাতে,
আমি সুতোয় কান পেতে শুনি বারবার,
সে মৃদু নৃত্যের মন মাতানো আওয়াজ।
কখনো ঘুড়ি মায়া ভুলে উড়ে যায় অজানায়,
হয়তো নাটাইয়ের সুতোয় আটকে থাকা অপছন্দের,
কিংবা ঘুড়ি অন্য কোন নাটাইয়ে গিয়ে আটকায়।
তীব্র ঝড়ে সুতো বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘুড়ি ঠিকানা হাড়ায়,
হাতে পরে থাকে নাটাই আর বিচ্ছিন্ন সুতো,
ঘুড়ি তখন তাল হারিয়ে ঝড়ের প্রকোপে পরে,
যেনো ব্ল্যাকহোলগুলোতে গ্রহ-নক্ষত্রের গ্রাস।
আমি ততক্ষণ দেখি আর পাগল প্রলাপ করি,
যতক্ষণ তা দৃষ্টিসীমা আর স্মৃতিতে অস্তিত্বশীল,
দীর্ঘদিনের খেলার উপকরণ, হয়তো তাই এমন।
আবার নতুন কোন ঘুড়ি হয়তো উড়বে আকাশে,
হয়তো অপরিচিত অচেনা ভিনদেশর কারিগরের,
নয়তো পরিচিতদের দ্বারা তৈরা করা কোন এক!

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
৩২১
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন