জন্মান্ধ

প্রবর রিপন প্রবর রিপন

দেখা হবার পর পুরোন বন্ধুরা প্রথমেই জানতে চাই
" কেমন আছি "
আমি মুদ্রাদোষের মত বলে ফেলি " ভালো অথবা খারাপ "
আর মনে মনে বলি বেটা কি অন্ধ নাকি ???!!
চারপাশের দিকে কিছুই কি তাকিয়ে দেখেনা !!! ????
ওর কপালের নিচের চোখ কি
ঈশ্বরের কপালের মাঝখানের চোখ !!!!! ???
যে দেশ নিজে ভাল নেই , কিছু ভাষণ ,
একটা যুদ্ধজয়ের কিছু সুখ স্মৃতি
কিছু সেনা অভুথানে বার বার ভুল হাতে যে দেশ ঘুরেছে
৪১ বছর বয়সী পৌড়া গণিকা যেমন যৌনরোগের কারখানা
যেনেও ঘুরে বেড়ায় আস্তানা আস্তানা থেকে পেটের ক্ষুধায়
আর স্বল্পমুল্যে কোন বন্দরে বিদেশী জাহাজীর প্রবাসী খালাশী
সামনে বার বার পেতে দেয় নিজের ঘিনঘিনে
মাছিঘেরা তরমুজের মত যোনী ,

সে যোনীতে সোনার ছেলে মেয়েরা হতাশায়
সোনার খাদে জংধরে আছে নিজেদের সঙ্কোচ
আড়ষ্টোতায় আর অব্যবহারে
নিরুদ্দেশ ভেসে চলেছে সোনার মত দেখতে তামাটে সন্তানেরা
সকল দেশের রানী সাজায় তাকে

তবু জন্মজননীর অবৈধ সন্তানেরা
আর যে সন্তানেরা কেউ ভাল নেই

যে দেশ নিজেই ভালো নেই ,
সেইদেশ কিভাবে তার
সন্তান সন্ততিকে ভাল রাখবে !!!!!!!! ???

তবু রাস্তায় বেরলো তবু সেই বাংলাদেশী কুশল বিনিময়
" কেমন আছেন ????
আমি ভাবি " তুই যখন নিজেকে অন্ধ মানছিস না
তাই আমি হলাম সেই ৪১ বছর বয়সী পৌড়া গণিকার ভাতার
অথবা তার ট্রানজিট রোডের ধারে শুণ্যের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়া
জন্মান্ধ অবৈধ ভিখিরী সন্তান

নিজ দেশে অভিবাসী হবার যন্ত্রনায় হাত বুলাই
পাসপোর্টের শেষপাতায়
যেভাবে অন্ধের হাতের নিচে শূনতার সাদা পৃষ্ঠায়
উচু নিচু অক্ষরে জেগে ওঠে একটা
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১০০৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন