মানুষের মানচিত্র ৪

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

ভাসান যে দিতে চাও, কোন দেশে যাবা? যাবা সে কোন বন্দরে আমারে একেলা থুয়ে? এই ঘর যৈবনের কে দেবে পাহারা? এমন কদম ফুল- ফোটা-ফুল থুয়ে কেউ পরবাসে যায়! তুমি কেন যেতে চাও বুঝি সব, তবু এই পরান মানে না।

লোকে কয় ভিন দেশে মেয়ে মানুষেরা নাকি বেজায় বেহায়া, শরীরের মন্ত্র দিয়ে আটকায় শাদা-সিদে পুরুষ মানুষ। তোমারে না হারাই যেন সেই দিব্যি দিয়ে যাও জলের কসম, আর বলি মাস মাস খোরাকি পাঠাতে যেন হয় নাকো দেরি।

পুবের না পশ্চিমের দেশ,কোন দেশে যাবা মাঝি, কোন দেশ? সেখানে কেমন জানি লোকজন, মানুষের আচার বিচার! শুনেছি দক্ষিনে ভয়, আজদাহা দরিয়ার বেশুমার খিদে, পাহার সমান ফনা আচমকা টেনে নেয় পেটের ভেতর।

দক্ষিনে যেও না মাঝি, কালাপানি দরিয়ায় কমোট কুমির। তোমারে হারাই যদি গলায় কলসি বেঁধে ডুব দেবো জেনো, তোমারে হারাই যদি ধুতুরার বিষ খেয়ে জুড়োবো পরান। পরবাসে যাবা মাঝি, মনে ভেবো ভরা গোলা রেখে গেছ ঘরে—

সোমত্ত বয়স দেহে মাঝি-বউ-দিন গোনে, ফেরে না ভাতার, গলায় গামছা বাঁধা হয় নাকো তার। পেটের আগুনে পোড়ে অতপর ঘরদোর, সোনার গতর আর সব শেষে পোড়ে তার যৌবনের কড়ি। মাঝি-বউ দিন গোনে, তবু দিন গোনে….
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১২১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন