পলায়ণ
শংকর ব্রহ্ম

ঘর থেকে বেরোতেই
আমায় দেখে শিউলি চারা কেঁদে ফেললো,
– জানো তো কাল রাতে ওরা
মা-কে কেটে নিয়ে গেছে।
– ওরা, মানে কারা?
– কারা আবার? মানুষ নামক জানোয়ারেরা।
দেখি সত্যিই পাশের বড় শিউলি গাছটার
কাটা গুড়ির থেকে যেন এখনও গড়াচ্ছে অশ্রুকণা
আমি ভাবি কান্নার বিকল্প নেই কোন
প্রাণীদের কষ্টের জীবনে,
বনে বনে গান গায় পাখি
তা কি কোন শোক-গীতি নয়?
কান পেতে কর অনুভব।

কাছে যেতেই নদী হো হো হো করে হেসে এলো তেড়ে,
– আমি বললাম, হাসছো কেন নদী?
– এবার বন্যায় ভাসাব, কেটেছো না গাছ?

ঠিক তখনই কোথা থেকে কা – কা রবে
ছুটে এলো একদল কাক আমাকে ঠোঁকরাতে,
ভেবেছে ওদের আস্তানা ভেঙে আমিই কেটেছি ওই গাছ
কাকের চোখে সব মানুষই এক রকম
আলাদা কেউ নয়,
যেমন আমরা আলাদা করে চিনতে পারি না কাকেদের।

আমি সেখান থেকে পালিয়ে এসে, বাঁচি শেষে।

কিন্ত বাঁচব কি করে?
ভিতরের বিবেক হা হা করে হেসে উঠল,
বলল, এর দায় নেবে কে?
পালাবে কোথায়?

সত্যিই তো পালাব কোথায়?

পরে পড়বো
২০
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন