সে একটা অদ্ভূত দমচাপা পুরনো বাড়িতে
ছিল আমাদের অন্তরের কাগজের অফিস
সেখানে পুরনো মানসিকতা, পুরনো যন্ত্রপাতি
নতুন সমস্যা, টাটকা খবর সব কিছু থাকত
সেই সঙ্গে অবশ্যই ছিল বামনৈতিক হিসহিস
অসুবিধার সাথে ছিল কত রকমের মিলমিশ।
আমাদের কাগজের মাথায় ছিলেন অপুষ্টির
শিকার অতি চালাক এক কঙ্কাল সম্পাদক
সমস্ত সংবাদ যাঁর নখের দর্পণে মুখ দেখে নিত।
সমস্ত কিছু তাঁর কাছে পরে, সবার ওপরে আগে
খালি খালি দেখতেন তিনি কাগজের হিতাহিত।
সে অফিস কবেই গেছে দলের প্রভুদের ভোগে
দলের মানবিকতাও মরে গেছে সন্ন্যাস রোগে
বছর ছেচল্লিশ ধরে হোলটাইমার মঙ্গলময় কঙ্কাল সম্পাদক এখন সমস্ত সৌজন্য আর নম্রতা ভুলে একপেশে ভবনে দুনিয়ার সংবাদ ঘাঁটেন,দলের
ডাল-ভাত খান প্রতি দিন,কখনো বা পুষ্টিকর ডিম।
আমাদের কঙ্কালদা এখনো, হায় এখনো জোরে
হাওয়া বইলেই কাঁপতে থাকেন, রাখা হয় ধরে
কোনো মতে, এখনো তিনি সারা দিন খবরাখবর
ঘাঁটেন আর কোনো কোনো বেশি সৎ ও পরিশ্রমী
কর্মীর ইহকাল ঘেঁটে দেন পরম উৎসাহ যোগে।
আমাদের সেই সম্পাদক,আহা আন্তরিক কাল!
ঝকঝকে বুদ্ধিমান, খবরকাঙাল, কাঠবাঙাল
চশমাপরা মহা বকবকিয়া, দ্রুত হাঁটা কঙ্কাল
দলের নেতাদের ধমক খেয়েও কাঁপেন এখন
এইটাই যা দুঃখ! তাছাড়া আপশোস নেই কোনো,
দল সারা জীবন দিয়ে যাবে ধমক, ভাত, ডাল।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন