রহিমার আর তর সইছে না।সারাদিন মনটা ছটফট ছটফট করে, ‘কী যেনো নেই কী যেনো নেই’ করে।
যতো দ্রুত সম্ভব আশাকে ফেলে দিতে হবে।বাই হুক অর বাই ক্রুক।রহিমার জীবনের একমাত্র নেশা হলো ক্ষমতা। ক্ষমতার জন্য সে সব করতে পারে- রাতকে দিন দিনকে রাত সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য- সব,সব করতে পারে।।এমন কিছু নেই যা সে ক্ষমতার জন্য করতে পারে না।
রহিমা পরিকল্পনা সাজিয়ে রেখেছে।বাস্তবায়নের দায়িত্বও দিয়ে দেয়া হয়েছে।কদম আলীকে বলা হয়েছে কালা তাবিজকে জীবন থেকে সরিয়ে দিয়ে নতুন কাউকে কাজ দিতে।রহিমা টাকাও এডভান্স পে করে রেখেছে।প্ল্যান – এ, প্ল্যান- বি, প্ল্যান- সি… এভাবে সাজানো আছে।এর যে- কোনো একটি সফল হলেই কেল্লাফতে। রহিমার গলা শুকিয়ে এসেছে।সে বেল বাজালো।মনিষা এসে ঘোলা জল নিয়ে টেবিলে রাখলো।মনিষা মেয়েটা দেখতে মাঝারি কিন্তু মনিষার পর্বত-শৃঙ্গ দেখলে কেওকারাডং-এর কথা মনে পড়ে।দেখতে যেমনই হোক সাইজ ভালো না হলে নাকি অজিতদার মন ভরে না।রহিমার ইশারায় মনিষা চলে গেলো। মনিষার পেছন দিকটার দিকে তীক্ষ্ণভাবে তাকিয়ে থাকতে থাকতে রহিমা অজিতদার কথা ভাবতে ভাবতে ঢক ঢক করে ঘোলা জল ঢালতে লাগলো মুখগহ্বরে..আজ চলবে আজ সারারাত চলবে আজ জমবে সারারাত জমবে জমাতে হবে।আর আশা বেগমকে এক হাত দেখে নিতে হবে।
দ্য কিলার আউটসাইডার -১৪


০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
১০৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন