মেঘ-বৃষ্টির কথা

দর্পণ কবীর দর্পণ কবীর

আমি জানিনা মেঘের ভেতরে গুমোট বেদনা
আছে কী নেই, বৃষ্টির জলকণায় কার না বলা কথা,
একাকার। মেঘকে মেঘের মতো দেখি জমে
থাকে, কখনো সাদা, কখনো কালো-বাদামী, আকাশ
ক্যানভাসে। মেঘ কারো অভিমান, নাকি হাওয়ায়
উড়ে যাওয়া বেলা শেষের গান? হতেও পারে
ব্যর্থ কবির কবিতা না ছাপার স্বপ্ন ভাঙার উপাখ্যান।
ছুঁয়ে দেখিনি মেঘের শরীর, দেখেছি শরীর এলিয়ে
মেঘকে ভেসে যেতে। তীব্র খরায় মেঘের কাছে
চেয়েছি জল দু’হাত পেতে। মেঘ নিয়ে জন্মেনি বাস্তবিক
আগ্রহ। তবু জানি, মেঘের ছায়ায় কত
সৃষ্টি-প্রলয়, কত উত্থান-পরাজয়, কত তোলপাড়-ক্ষয়,
মেঘ বলে, ‘মুখ বুজে সব সহো!’

বৃষ্টি মানে জলের পতন, আকাশ থেকে জলরাশির ছান্দসিক
সমর্পণ-মুখরতা। জলের কণায় ভিজিয়ে দেবার
দস্যিপনায় বৃষ্টি নামে, ভাবি মেঘ-মল্লার রাগ কি আসে
বৃষ্টি-খামে? বৃষ্টি কবিদের প্রিয় শিল্পউপকরণ,
অলসদের প্রিয় অজুহাত, মূষল বৃষ্টি বিপন্ন পথিকের
বাড়ায় অবসাদ। আরো ভাবি, কারো চোখের
কোণে জমে থাকা জলের ভাষায়কাব্য লিখে বৃষ্টি
নামে। বৃষ্টি যতই অঝোর নামুক, প্লাবিত
হোক বাড়ির উঠোন, জলে জলে পথ হয়ে গেলেও
খাল-বিল-নদী, বৃষ্টি ঠিকই থামে। মেঘ বা বৃষ্টি
কেউ কিনতে পারে না কোনো দামে!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৭৮ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন