সোশ্যাল মিডিয়া ও কিছু স্মৃতি
জয়দেব বেরা
বর্তমান যুগ ‛বিশ্বায়ন’ ও ‛আধুনিকীকরণ’ এর যুগ। এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও চর্চিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বলা যায়, এই সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে বিশ্বায়ন ও আধুনিকীকরণের একটি গভীর সংযোগ সম্পর্ক ও যোগসূত্র বর্তমান রয়েছে। বিশ্বায়ন ও আধুনিকীকরণের ফলে যেমন বর্তমান সময়ে সোশাল মিডিয়ার যথেষ্ট উন্নতি সাধন ঘটেছে ঠিক তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ার বিকাশে বা অগ্রগতির ফলে এই বিশ্বায়ন ও আধুনিকীকরণ এর বিষয়টিরও যথেষ্ট সরলীকরণ ঘটেছে। তাই বলতে পারি যে, বিশ্বায়ন - আধুনিকীকরণ- সোশ্যাল মিডিয়া ঠিক যেন সূর্য, চন্দ্র ও পৃথিবীর মতো ‛সিজিগি’ অবস্থানে রয়েছে। বর্তমান যুগ যেহেতু বিশ্বায়ন ও আধুনিকীকরণের যুগ তাই এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যতিত সবকিছুই যেন অচল। এই সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবনকে নানান ভাবে প্রভাবিত করে থাকে। বিংশ শতাব্দীর অন্তিম অধ্যায় থেকে একবিংশ শতাব্দীর সূচনাকালের সময় থেকে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের ওয়েব নেটওয়ার্ক আমাদের আধুনিক জনজীবনকে গ্রাস করেছে। ফেসবুক,
হোয়াটস অ্যাপ, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ব্লগ এবং অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্ক প্রভৃতি বিকশিত প্রযুক্তি প্রকৌশলের বিভিন্ন বিষয় প্রাত্যাহিক জীবনধারার অঙ্গে পরিণত হয়েছে। এই সোশ্যাল মিডিয়া গণমাধ্যমের Mass Media একটি অন্যতম অঙ্গ। গণমাধ্যম যেহেতু গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ ; সেই হেতু এই সোশ্যাল মিডিয়া গণতন্ত্রের বিকাশেও যথেষ্ট অবদান যোগায়। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা বাড়িতেই বসে যেন পুরো পৃথিবীকে ভ্রমণ করে নেই। আমাদের সংস্কৃতির বিকাশেও এই সোশ্যাল মিডিয়া যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বলা হয়, আধুনিক সংস্কৃতিতে গণমাধ্যম তথা সোশ্যাল মিডিয়া হল একটি তাৎপর্যপূর্ণ শক্তি। সমাজতাত্ত্বিকরা একে বলেছেন, মধ্যস্থতা সাপেক্ষ পরোক্ষ সংস্কৃতি Mediated Culture। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই আমরা বাড়িতে বসে সারা পৃথিবীর সমস্ত খবরাখবর এক নিমিষেই জানতে পেরে যাই। সমস্ত দেশের সংস্কৃতি সম্বন্ধে জানতে ও বিশ্ব সাংস্কৃতিক পরিচিতি ঘটাতে এই সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সারা বিশ্বের চলচিত্রের খবর, খেলার খবর, রাজনৈতিক খবর, আর্থ-সামাজিক চিত্র, সাহিত্য-শিক্ষামূলক খবর এবং বিনোদনমূলক খবর প্রভৃতি সবকিছুই জানতে পারি এই সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদেই। সোশ্যাল মিডিয়া সংস্কৃতিক বিশ্বায়ন - রাজনৈতিক বিশ্বায়ন - অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এর মধ্যে এক নিবিড় মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। তাই বলা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া সমগ্র বিশ্বকে এক ‛Global Village’ এ পরিণত করেছে। অর্থাৎ এই সোশ্যাল মিডিয়া পৃথিবীকে যেন সংকুচিত করে একটি গ্রামে পরিণত করেছে। এককথায় সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বায়নের পথকে আরও প্রশস্ত করেছে।
সমাজ সচেতনতায়ও সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা খুবই অনস্বীকার্য। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ডেঙ্গু, পোলিও, যক্ষা, কুষ্ঠ, HIVAIDS প্রভৃতি রোগ- অসুখ সম্পর্কে মানুষের মনে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। এই সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা গুলি সমাজে অস্থিরতা ও অব্যবস্থার সৃষ্টি করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমাজের মানুষকে খুব সহজেই জানানো হয় যে, এই সমস্ত রোগীদের ছুঁলে রোগ সংক্রামিত হয় না। অনুরূপভাবে পোলিও নির্মূল করণের মত কার্যক্রমেও এই সোশ্যাল মিডিয়া অমূল্য সদর্থক ভূমিকা পালন করে থাকে। আবারও এইসব ইতিবাচক দিকগুলির পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া এই সমাজে নেতিবাচক ভূমিকাও পালন করে থাকে। বিভিন্ন রোগ সম্পর্কিত ভুল তথ্যপ্রদান, অর্থনৈতিক প্রতারণা করা, কুসংস্কার ছড়ানো, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতেও সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। যাইহোক, এই সমাজে সোশ্যাল মিডিয়া নেতিবাচক ও ইতিবাচক উভয়ই ভূমিকা পালন করে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাথমিক পরিচয় ও ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা প্রসঙ্গে কিছু কথা বলতে চাই। এই সোশ্যাল মিডিয়াকে ঘিরে রয়েছে সহস্র স্মৃতির স্মৃতিচারণ কথা। আকাশের রামধনুর মতো সোশ্যাল মিডিয়াও আমার জীবনের রামধনু হয়ে মাঝে মাঝে নানান স্মৃতির চিত্রকলা এঁকে দিয়েছে। সালটা ছিল সম্ভবত ২০১৫। জীবনে প্রথম যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসি তখন মনে এক অন্যরকম আবেগ ও অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিল। ফেসবুক,
হোয়াটসঅ্যাপে এক ভিন্ন ধরনের জগৎ পেয়েছিলাম ; সেটি সাহিত্য থেকে শুরু করে শিক্ষা, বিনোদনমূলক সবকিছুই।
জীবনে প্রথম লেখালেখি তথা সাহিত্যচর্চার সাফল্যের যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল এই ফেসবুক থেকেই। ফেসবুকের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সাথে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এই সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদেই আমার লেখা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল শুভ্রা পত্রিকায় ও অক্ষর সংলাপ পত্রিকায়। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে এই ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমার সাহিত্য ও শিক্ষামূলক চর্চা দেশ-বিদেশের বাংলাদেশ, কানাডা, প্যারিস, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও ওয়েব ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হতে থাকে। সেই শুরু থেকেই আজও এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমার সাহিত্য ও শিক্ষামূলক চর্চার যাত্রাপথ এগিয়ে যেতে থাকে। এরই সুবাদে দেশ-বিদেশের বহু মানুষজনের কাছে তরুণ কবি, সাহিত্যিক ও বই লেখক হিসেবে স্বল্প হলেও পরিচিতি লাভ করি। আমি শুরুতেই একটি পত্রিকা দিয়েই লেখা শুরু করেছিলাম ; আর সেই থেকে আজ পর্যন্ত অসংখ্য পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির পাশাপাশি প্রায় ২০ খানা একক বই ও গবেষণামূলক গ্রন্থ এবং জার্নাল লেখালেখি ও সম্পাদনা করেছি। বর্তমানে এখন আমি মানসী সাহিত্য পত্রিকার একজন সম্পাদকও বটে। এই সবকিছুর সাফল্যের ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য রয়েছে। এ তো গেল সাহিত্য চর্চার কথা, এর পাশাপাশি কিছু বিনোদন ও ভালোবাসার স্মৃতিও রয়েছে। এই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ঘটেছে নানান রকমের ভালোবাসার ছন্দ খেলা। এই সোশ্যাল মিডিয়ার আকাশে ভালোবাসার স্মৃতিগুলো কখনো কখনো মেঘ হয়ে উড়ে বেড়াতো আবার কখনো প্রেম বৃষ্টি হয়ে এ হৃদয় মাটিতে ঝরে পড়তো। প্রায়শই এই সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতাম ওর নামের পাশে সবুজ বাতিটা জ্বলার অপেক্ষায়।আবার অনেকসময় এই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপটি মাঝে মাঝে রাগ-অভিমান-ভালোবাসার মেলবন্ধনে যেন ভরে উঠতো। এবং অপেক্ষায় থাকতাম ওর প্রোফাইলের সুন্দর সুন্দর ডিপির অপেক্ষায়। তখন শুধু মনে হতো এই সোশ্যাল মিডিয়ার গৃহে কেবল থাকতাম ‛আমি - সে ও ফেসবুক’। এর পাশাপাশি থাকতো বন্ধু-বান্ধবীদের নানানরকমের মজার মজার আড্ডা ও বিনোদনমূলক মজার মজার ঘটনা। সব মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আমার জীবনে এক অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। আর সর্বদা দিয়েছে নানা ধরনের ভালোবাসার স্মৃতিতে ভরা সহস্র উপহার।
হোয়াটস অ্যাপ, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ব্লগ এবং অন্যান্য সামাজিক নেটওয়ার্ক প্রভৃতি বিকশিত প্রযুক্তি প্রকৌশলের বিভিন্ন বিষয় প্রাত্যাহিক জীবনধারার অঙ্গে পরিণত হয়েছে। এই সোশ্যাল মিডিয়া গণমাধ্যমের Mass Media একটি অন্যতম অঙ্গ। গণমাধ্যম যেহেতু গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ ; সেই হেতু এই সোশ্যাল মিডিয়া গণতন্ত্রের বিকাশেও যথেষ্ট অবদান যোগায়। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা বাড়িতেই বসে যেন পুরো পৃথিবীকে ভ্রমণ করে নেই। আমাদের সংস্কৃতির বিকাশেও এই সোশ্যাল মিডিয়া যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বলা হয়, আধুনিক সংস্কৃতিতে গণমাধ্যম তথা সোশ্যাল মিডিয়া হল একটি তাৎপর্যপূর্ণ শক্তি। সমাজতাত্ত্বিকরা একে বলেছেন, মধ্যস্থতা সাপেক্ষ পরোক্ষ সংস্কৃতি Mediated Culture। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই আমরা বাড়িতে বসে সারা পৃথিবীর সমস্ত খবরাখবর এক নিমিষেই জানতে পেরে যাই। সমস্ত দেশের সংস্কৃতি সম্বন্ধে জানতে ও বিশ্ব সাংস্কৃতিক পরিচিতি ঘটাতে এই সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য। সারা বিশ্বের চলচিত্রের খবর, খেলার খবর, রাজনৈতিক খবর, আর্থ-সামাজিক চিত্র, সাহিত্য-শিক্ষামূলক খবর এবং বিনোদনমূলক খবর প্রভৃতি সবকিছুই জানতে পারি এই সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদেই। সোশ্যাল মিডিয়া সংস্কৃতিক বিশ্বায়ন - রাজনৈতিক বিশ্বায়ন - অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এর মধ্যে এক নিবিড় মেলবন্ধন ঘটিয়েছে। তাই বলা যায়, সোশ্যাল মিডিয়া সমগ্র বিশ্বকে এক ‛Global Village’ এ পরিণত করেছে। অর্থাৎ এই সোশ্যাল মিডিয়া পৃথিবীকে যেন সংকুচিত করে একটি গ্রামে পরিণত করেছে। এককথায় সোশ্যাল মিডিয়া বিশ্বায়নের পথকে আরও প্রশস্ত করেছে।
সমাজ সচেতনতায়ও সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা খুবই অনস্বীকার্য। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ডেঙ্গু, পোলিও, যক্ষা, কুষ্ঠ, HIVAIDS প্রভৃতি রোগ- অসুখ সম্পর্কে মানুষের মনে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। এই সমস্ত ভ্রান্ত ধারণা গুলি সমাজে অস্থিরতা ও অব্যবস্থার সৃষ্টি করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সমাজের মানুষকে খুব সহজেই জানানো হয় যে, এই সমস্ত রোগীদের ছুঁলে রোগ সংক্রামিত হয় না। অনুরূপভাবে পোলিও নির্মূল করণের মত কার্যক্রমেও এই সোশ্যাল মিডিয়া অমূল্য সদর্থক ভূমিকা পালন করে থাকে। আবারও এইসব ইতিবাচক দিকগুলির পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া এই সমাজে নেতিবাচক ভূমিকাও পালন করে থাকে। বিভিন্ন রোগ সম্পর্কিত ভুল তথ্যপ্রদান, অর্থনৈতিক প্রতারণা করা, কুসংস্কার ছড়ানো, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতেও সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। যাইহোক, এই সমাজে সোশ্যাল মিডিয়া নেতিবাচক ও ইতিবাচক উভয়ই ভূমিকা পালন করে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাথমিক পরিচয় ও ভূমিকা সম্পর্কে আলোচনার পাশাপাশি আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা প্রসঙ্গে কিছু কথা বলতে চাই। এই সোশ্যাল মিডিয়াকে ঘিরে রয়েছে সহস্র স্মৃতির স্মৃতিচারণ কথা। আকাশের রামধনুর মতো সোশ্যাল মিডিয়াও আমার জীবনের রামধনু হয়ে মাঝে মাঝে নানান স্মৃতির চিত্রকলা এঁকে দিয়েছে। সালটা ছিল সম্ভবত ২০১৫। জীবনে প্রথম যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আসি তখন মনে এক অন্যরকম আবেগ ও অনুভূতির সৃষ্টি হয়েছিল। ফেসবুক,
হোয়াটসঅ্যাপে এক ভিন্ন ধরনের জগৎ পেয়েছিলাম ; সেটি সাহিত্য থেকে শুরু করে শিক্ষা, বিনোদনমূলক সবকিছুই।
জীবনে প্রথম লেখালেখি তথা সাহিত্যচর্চার সাফল্যের যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল এই ফেসবুক থেকেই। ফেসবুকের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার সাথে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এই সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদেই আমার লেখা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল শুভ্রা পত্রিকায় ও অক্ষর সংলাপ পত্রিকায়। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে এই ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আমার সাহিত্য ও শিক্ষামূলক চর্চা দেশ-বিদেশের বাংলাদেশ, কানাডা, প্যারিস, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও ওয়েব ম্যাগাজিনেও প্রকাশিত হতে থাকে। সেই শুরু থেকেই আজও এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমার সাহিত্য ও শিক্ষামূলক চর্চার যাত্রাপথ এগিয়ে যেতে থাকে। এরই সুবাদে দেশ-বিদেশের বহু মানুষজনের কাছে তরুণ কবি, সাহিত্যিক ও বই লেখক হিসেবে স্বল্প হলেও পরিচিতি লাভ করি। আমি শুরুতেই একটি পত্রিকা দিয়েই লেখা শুরু করেছিলাম ; আর সেই থেকে আজ পর্যন্ত অসংখ্য পত্র-পত্রিকায় লেখালেখির পাশাপাশি প্রায় ২০ খানা একক বই ও গবেষণামূলক গ্রন্থ এবং জার্নাল লেখালেখি ও সম্পাদনা করেছি। বর্তমানে এখন আমি মানসী সাহিত্য পত্রিকার একজন সম্পাদকও বটে। এই সবকিছুর সাফল্যের ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা অনস্বীকার্য রয়েছে। এ তো গেল সাহিত্য চর্চার কথা, এর পাশাপাশি কিছু বিনোদন ও ভালোবাসার স্মৃতিও রয়েছে। এই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ঘটেছে নানান রকমের ভালোবাসার ছন্দ খেলা। এই সোশ্যাল মিডিয়ার আকাশে ভালোবাসার স্মৃতিগুলো কখনো কখনো মেঘ হয়ে উড়ে বেড়াতো আবার কখনো প্রেম বৃষ্টি হয়ে এ হৃদয় মাটিতে ঝরে পড়তো। প্রায়শই এই সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকতাম ওর নামের পাশে সবুজ বাতিটা জ্বলার অপেক্ষায়।আবার অনেকসময় এই ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপটি মাঝে মাঝে রাগ-অভিমান-ভালোবাসার মেলবন্ধনে যেন ভরে উঠতো। এবং অপেক্ষায় থাকতাম ওর প্রোফাইলের সুন্দর সুন্দর ডিপির অপেক্ষায়। তখন শুধু মনে হতো এই সোশ্যাল মিডিয়ার গৃহে কেবল থাকতাম ‛আমি - সে ও ফেসবুক’। এর পাশাপাশি থাকতো বন্ধু-বান্ধবীদের নানানরকমের মজার মজার আড্ডা ও বিনোদনমূলক মজার মজার ঘটনা। সব মিলিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া আমার জীবনে এক অনন্য ভূমিকা পালন করেছে। আর সর্বদা দিয়েছে নানা ধরনের ভালোবাসার স্মৃতিতে ভরা সহস্র উপহার।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৮০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন