মারজুক রাসেল

কবিতা - লাঞ্চ

লেখক: মারজুক রাসেল

শ্যাটা-ভাঙা খিদা লাগছে।
শাহবাগ কি দুপুর বানাও? কী কী জিনিস একসঙ্গে মিশাইলে, বা কী থেকে কী
আলাদা করলে [শরীর থেকে পা আলাদা করলে খোঁড়া, চোখ দুইটা তুইলা দিলে
বা নিলে কানা, জ্বিহবা কাইটা ফালাইলে বোবা…]
দুপুরটা হয়?

শ্যাটা-ভাঙা খিদা লাগছে, খাবো–খাআআবো। এমন খিদা লাগছে পুরা
ঢাকা খাইতে ইচ্ছা করতেছে। ম্যাপ-তো না ‘মেনু–মেনু নিয়া বসছি…
শাহবাগ খাবো পিজি, জাতীয় সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ, বারডেম, জাদুঘর,
পাবলিক লাইব্রেরি, চারুকলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলা একাডেমি, বৃটিশ
কাউন্সিল, শহীদমিনার, সাকুরা, পিকক গার্ডেন, সোহরাওয়ার্দি উদ্যান,
রমনা পার্ক, শেরাটন, চ্যানেল আই, বেইলি রোড, ভিকারুননিসা, শিশু
পার্ক, কাঁটাবন দিয়া–সালাদ হচ্ছে আজিজ সুপার মার্কেট…।

এলিফেন্ট রোড খাবো গাউছিয়া, নিউ মার্কেট, বলাকা, নীলক্ষেত, ইডেন,
হোম ইকোনোমিক্স, লালবাগ কেল্লা, ঢাকেশ্বরী, ঢাকা মেডিকেল, আজিমপুর
ও তার কবরস্থান, ঢাকা কলেজ, হাতিরপুল, সাউন্ড গার্ডেন, ২০০০,
ইস্টার্ন প্লাজা, মানবজমিন, বাংলামোটর, হোটেল সোনারগাঁ, এফডিসি,
কারওয়ান বাজার, প্রথম আলো, গ্রিন রোড, পান্থপথ দিয়া….।

সমস্ত নাম্বারের ধানমণ্ডি খাবো রায়ের বাজার, জিগাতলা, সিটি কলেজ,
সায়েন্স ল্যাব, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ, রাইফেলস স্কয়ার, গ্যেটে ইন্সটিটিউট,
সাত মসজিদ রোড, রাশিয়ান কালচারাল সেন্টার, লালমাটিয়া মহিলা
কলেজ, মোহাম্মদপুর [স্পেশালি নূরজাহান ও তাজমহল রোড, শিয়া
মসজিদ এবং শেখের টেক], আসাদ গেট দিয়া…এইভাবে পুরা ঢাকা সিটি।
এই দুপুর, এই রাক্ষইশ্যা খিদার সময় তুমিও যদি ওইসব এলাকায় বা
ঢাকার ভিতরে থাকো–বাদ যাচ্ছে না–তোমারেও খাচ্ছি…

‘সন্ত, বন্ধু আমার, এক হাঁড়ি দই ম্যানেজ কর।
সন্ত: ‘বগুড়ায় যাই?’
মারজুক: ‘না, যাইতে হবে না! ঢাকার মধ্যে বগুড়ার মালের অভাব নাই।’

এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ১৬৭ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন