ডিভোর্সি

শিমুল মুস্তাফা শিমুল মুস্তাফা

এক জীবনে একটা মানুষ
তুমি ছাড়াও একলা হয়ে
নিজের মতো বাঁচতে পারে।
হাতের বাঁধন, জাতের বাঁধন
পায়ের বাঁধন, গায়ের বাঁধন
সকল বাঁধন ছিন্ন করে
বাঁচতে জানে নিজের মতো।
এই যে আমি দিব্যি এখন
বাঁচতে জানি আমার মতো,
তুমিহীনা নির্ভয়েতে
উঠতে পারি, বসতে পারি
বাঁচতে জানি আমার মতো
মাঝ দুপুরে, নূপুর পরে
রোদের সাথে বোধ মাখিয়ে
দিব্যি এখন বাঁচতে জানি।
স্বর্ণে গড়া দাঙ্গাবেড়ী
ছিন্ন ক'রে এই যে আমি
দিব্যি দেখো ভালো আছি।
এখন আমি আমার প্রিয়
লাল জামাটা ইচ্ছে হলেই
পরতে পারি যখন তখন।
যখন তখন ইচ্ছে হলে
ইচ্ছে হলে আমায় ডাকি।
ইচ্ছে মতোন যখন তখন
জানলা খুলে দরজা খুলে
জুঁই চামেলীর গন্ধ মাখি।
ইচ্ছে হলেই আমায় নিয়ে
সকাল দুপুর সন্ধ্যা বেলা
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে
বারান্দাতে দাঁড়িয়ে থাকি
যখন তখন ইচ্ছে মতো।
এখন আমার ভয় করেনা
রাতের আকাশ, পূর্ণিমা চাঁদ
ভয় করে না এখন আমার
যখন তখন ঘুমিয়ে যেতে।
ভয় করে না একটু বেশী
ঘুমিয়ে নিতে-খাবার খেতে।
ভয় করেনা নিজের শরীর
নিজের আঙুল নিজের বালিশ।
এখন আমি মুক্তি পাওয়া
মুক্ত হাওয়ার সেই যে পাখি
তোমায় নিয়ে আর ভাবিনা
এখন আমি আমার মাঝে
আমার মতো আমিই থাকি।

স্থিরচিত্র- শিমুল মুস্তাফা
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৪৫০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন