স্বপ্নজ্বর
শিমুল মুস্তাফা
একটি ছেলে এই শহরের
একটি পাড়ার চিলেকোঠায়
একলা থাকে নিজের মতোন
ভাবুক থাকে কি যে আঁকে
নিজের ভেতর হাবিজাবি
কাব্য কথা লিখছে বুকে
নিজে নিজে নিজের মতোন
আপন মনে স্বপ্ন বুনে
ভেজা আকাশ বুকের ভেতর
নিজেই শুকোয় নিজেই লুকোয়
নিজের কাছে হর হামেশা
চাল চুলোহীন উষ্কখুষ্ক
প্রবজ্য এক বাউলিয়ানা
চলায় বলায় দাঁড়ি গোঁফে
উদাস দুপুর উপুড় করে
ট্রাফিক জ্যাম আর লোডশ্যাডিং এ
কিছুই যেনো যায় আসে না
সেই ছেলেটা কিসের নেশায়
তাসের আড্ডা দাবার ঘুঁটি
খুঁটি নাটি শিল্পকলা টিএসসিটা
এড়িয়ে চলে ইচ্ছে করে
ওসব তার আর ভাল্লাগে না
আগের মতোন যখন তখন
এখন যে সে অন্য নেশায়
মগ্ন থাকে হরহামেশা
এখন যে তার অন্য ভূবন
উপুড় করা স্বপ্ন নিয়ে
সন্ধ্যে হবার অনেক আগেই
সেই ছেলেটা দাঁড়িয়ে থাকে
দাঁড়িয়ে থাকে অন্য পাড়ার
গলির কোণে অন্য মনে
দাঁড়িয়ে থাকে বাড়িয়ে দুচোখ
উদাস মনে প্রহর গোনে
ঠিক তখনই দিক হরিণী
হলুদ বাড়ির তিনতলাতে
একটি নারী বনলতার ভঙ্গিমাতে
দাঁড়ায় এসে আপন মনে বারান্দাতে
প্রতীক্ষারই রঙিন ডানা মেলে দিয়ে
স্বপ্ন দেখে যুগল হবার শেষ বিকেলে
একটি যুগল একটি বিকেল
স্বপ্ন বুনে সাত শ' রকম
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে
সেই মেয়েটা দাঁড়িয়ে থাকে
আপন মনে আপন ধ্যানে
এক সমুদ্র স্বপ্ন নিয়ে
সেই ছেলেটাও দাঁড়িয়ে থাকে
নিথর পাথর বৃক্ষ হয়ে
সন্ধ্যা নামে অন্ধকারে
বনলতা সে ফিরে যায়
আপন ডেরায় উদাস হাওয়ায়
সেই ছেলেটাও টলতে টলতে
বাড়ি ফেরে নিজের পাড়ায়
নিজের ঘরে চিলেকোঠায়
এই শহরে একটি ছেলে
একলা থাকে একলা হাঁটে
অলীক স্বপ্ন বুকে নিয়ে
এই শহরে একটি ছেলে
একলা মরে
একলা ঘরে
স্বপ্ন জ্বরে।
একটি পাড়ার চিলেকোঠায়
একলা থাকে নিজের মতোন
ভাবুক থাকে কি যে আঁকে
নিজের ভেতর হাবিজাবি
কাব্য কথা লিখছে বুকে
নিজে নিজে নিজের মতোন
আপন মনে স্বপ্ন বুনে
ভেজা আকাশ বুকের ভেতর
নিজেই শুকোয় নিজেই লুকোয়
নিজের কাছে হর হামেশা
চাল চুলোহীন উষ্কখুষ্ক
প্রবজ্য এক বাউলিয়ানা
চলায় বলায় দাঁড়ি গোঁফে
উদাস দুপুর উপুড় করে
ট্রাফিক জ্যাম আর লোডশ্যাডিং এ
কিছুই যেনো যায় আসে না
সেই ছেলেটা কিসের নেশায়
তাসের আড্ডা দাবার ঘুঁটি
খুঁটি নাটি শিল্পকলা টিএসসিটা
এড়িয়ে চলে ইচ্ছে করে
ওসব তার আর ভাল্লাগে না
আগের মতোন যখন তখন
এখন যে সে অন্য নেশায়
মগ্ন থাকে হরহামেশা
এখন যে তার অন্য ভূবন
উপুড় করা স্বপ্ন নিয়ে
সন্ধ্যে হবার অনেক আগেই
সেই ছেলেটা দাঁড়িয়ে থাকে
দাঁড়িয়ে থাকে অন্য পাড়ার
গলির কোণে অন্য মনে
দাঁড়িয়ে থাকে বাড়িয়ে দুচোখ
উদাস মনে প্রহর গোনে
ঠিক তখনই দিক হরিণী
হলুদ বাড়ির তিনতলাতে
একটি নারী বনলতার ভঙ্গিমাতে
দাঁড়ায় এসে আপন মনে বারান্দাতে
প্রতীক্ষারই রঙিন ডানা মেলে দিয়ে
স্বপ্ন দেখে যুগল হবার শেষ বিকেলে
একটি যুগল একটি বিকেল
স্বপ্ন বুনে সাত শ' রকম
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে
সেই মেয়েটা দাঁড়িয়ে থাকে
আপন মনে আপন ধ্যানে
এক সমুদ্র স্বপ্ন নিয়ে
সেই ছেলেটাও দাঁড়িয়ে থাকে
নিথর পাথর বৃক্ষ হয়ে
সন্ধ্যা নামে অন্ধকারে
বনলতা সে ফিরে যায়
আপন ডেরায় উদাস হাওয়ায়
সেই ছেলেটাও টলতে টলতে
বাড়ি ফেরে নিজের পাড়ায়
নিজের ঘরে চিলেকোঠায়
এই শহরে একটি ছেলে
একলা থাকে একলা হাঁটে
অলীক স্বপ্ন বুকে নিয়ে
এই শহরে একটি ছেলে
একলা মরে
একলা ঘরে
স্বপ্ন জ্বরে।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৭০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন