জীবনে যা কিছু স্পর্শ করেছি
সবই গেছে তলিয়ে অতলের
গহ্বরে, ধূসর নুলিয়া হয়ে,
চোরা বালির অলিতে গলিতে ।
শৈশবের সেই কাগজের নৌকো
ভাসতে ভাসতে চলে গেছে কবে
কে জানে কোন রূপকথার দেশে
ফেরেনি তো আর ভুলেও কখনো
কৈশোরের পেটকাটি,চাঁদিয়াল
ভোঁকাট্টা হয়ে উড়ে গেছে কবে
মেঘেদের দলে জলে জঙ্গলে
প্রতীক্ষার প্রহরে কেটেছে কতো
বেলা অবেলা নীলিমায় তাকিয়ে
বাল্যকালে প্রথম শিহরণ
পূরবীর সেই মায়া ভরা মুখ
বারবার যাকে লিখেছি খাতায়
মুছে ফেলে ফেলে আবার লিখেছি
সেও একদিন নিরুদ্দেশ হলো
অন্য শহরে অজানা কোথাও
একদিন পকেট হাতড়ে দেখি
ছেঁড়া পকেট থেকে হারিয়ে গেছে
গোটা বাল্যকাল আগলে রাখা
প্রিয় সেই কামরাঙা মার্বেল
আজো মাটিমুখ করে খুঁজে ফিরি
ইট পাথরের ফাঁক ফোকরে
আহা সেই কামরাঙা মার্বেল
সেই বাল্যকালের সহোদরা
কেড়ে নিয়ে সিগারেটে শেষ টান
দিতে দিতে মিছিলে ছুটে যাওয়া
ফিরোজের সেই দিন বদলের
স্বপ্নভরা স্বদেশী মুখখানি
আর ফিরে আসেনি কোনোদিনই
জীবনে যা কিছু ধরতে গিয়েছি
যা কিছু স্পর্শ করতে গিয়েছি
ফিরে আর আসেনি কোনোদিনই
আসেনি ফিরে কেউ আসোনি তুমি
জানি আসবে না ফিরে কোনো দিন
আর কোনোদিন কোনোদিন আর
এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ১১৩ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন