বৃষ্টিজল আর আমি

সামস রবি সামস রবি

মধ্যরাত, ঘুমন্ত শহরে জ্যোৎস্না দেখছি
আকাশে নিরুপম সাজে তারা'রা সেজেছে,
বারান্দার গ্রিল ঠান্ডায় যেন জমে আছে
শীতল বাতাসে চারদিক আরো অপরূপ।
মাঝে মাঝে তন্দ্রা উকি দিয়ে যায়
কিন্তু ঘুমের ইচ্ছা শক্তি ঘুমিয়ে গেছে!
কেন বার বার মনে হচ্ছে?
কেউ আসবে, পাশে বসবে
আমি হাতে হাত রেখে বলবো;
দেখেছ তারা'রা জ্যোৎস্নার সাথে কেমন আলিঙ্গন করছে,
তাদের প্রেমের কুলেকুলে শীতলতার অঙ্গীকার।
তুমি কি কখনো খেয়াল করেছ?
জ্যোৎস্নারা যখন অমাবস্যায় ডুবে যায়
তারা গুলো কেমন নিষ্প্রাণ হয়ে যায়,
নিভু নিভু ছায়ায় ঢলে পড়ে মৃত্যুপুরে।
বাস্তবের মরীচিকা কল্পনায়ও দুর্বল করে দেয়!
না আমি একা'ই আছি, পাশে কেউ নেই,
এই হাতেও কারো স্মৃতি নেই, স্বপ্ন নেই।
তারা-জ্যোৎস্না'দের চিৎকার করার অধিকার নেই,
আকাশ গম্ভীর হয়ে গেল, শীতল বাতাসের গতিবেগ বেড়ে গেল,
গাছ শুন্য শহরে শুকনো পাতা শরীরে আছড়ে পড়ার সুযোগ নেই।
থেমে থেমে ঝুম বৃষ্টি, বাতাস হারিয়ে গেল
তাই বৃষ্টিজল শরীরে ছিটকে পড়ছেনা,
হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেখলাম, এ-যেন রক্ত চক্ষু থেকে ঝরে পড়া রক্তক্ষরণ!
কারো বিলীন হওয়া বিশ্বাসের পরিসমাপ্তি।
শেষ রাত বৃষ্টি থেমে গেছে, আকাশ লাল হয়ে আছে
যেন সদ্য কান্না করা চোখের লাল আভা।
বসে আছি, সকাল দেখি;
যান্ত্রিক শহরের কোলাহল শুরু।
আমার চোখে এখন প্রাচ্যের ঘুম ভিড় করেছে।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৬১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন