কমরেডের জন্য কবিতা
শুভশ্রী রায়
অনেকেই বলে
কমরেড নিজের জায়গায় থাকুন
তোমার কবিতা থাকুক কবিতায়।
তুমি তাঁকে বারবার কবিতায় নিয়ে আস কেন?
আমি বলি, তিনি আমার ভালোবাসা হয়ে
দিন আর রাতের মতো
সারা দিনের ক্লান্তির পরে
চোখের পাতায় ঘুমের মতো সহজভাবে
বিনা ঘোষণায়, শ্লোগানের হাত না ধরেই
নিজেই আমার কবিতায় এসে যান।
আমার আনতে হয় না।
ধর, আমি লিখছি, তিনি সদ্যগঠিত একটি পংক্তির গায়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন।
পকেট থেকে সিগারেট বার করে ধূমপান করতে থাকেন। আমার দিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী এগিয়ে আসে, আমার ভালো লাগে না।
রেগে গিয়ে বলি, জানেন না সিগারেট
এক ধারাবাহিক খুনী!
ওটা ফেলে দিন এখনি।
কমরেড সজোরে হেসে ওঠেন।
বলেন, রাজনীতির অসহ্য উদ্বেগ ভুলে থাকতে
কী আছে উপায়? তাই ধূমপান করি।
ধোঁয়া'র পেছন পেছন কাঁকড়া আসতে পেরে
জেনেও ছাড়তে পারি না।
বুঝেশুনে আমার খুব কষ্ট হয়।
বলি, বসুন আমার পাশে।
সেই দক্ষিণ কলকাতা থেকে অনেক দিন পরে
এলেন এই অবহেলিত উত্তরে।
জানেনই তো আমি কত কমরেড-কাতুরে।
দু'জনেই হেসে উঠি। আমি ওঁর দিকে ডান হাত
বাড়িয়ে দিই। উনি ধরে নেন।
তারপরে ছড়ানো ছিটনো অক্ষর, শব্দ, পংক্তি, দাঁড়ি-কমা ইত্যাদির মাঝখান দিয়ে
রাস্তা বার করে নিয়ে যৌথ ভবিষ্যৎহীনতার দিকে সানন্দে হাঁটতে শুরু করি আমরা।
উনি আনন্দের পুরুষ আর আমি তখন
ওঁকে পাশে পেয়ে সুখেস্বস্তিতে ডানাছাড়া পরী।
আমাদের ভালোবাসার আগামীকাল আছে
কিন্তু কোনোভাবেই ভবিষ্যৎ নেই।
হিসেবনিকেশের ব্যর্থতা'র পরেও
আমাদের ভেতরের মাধুর্য হারায় না খেই।
আমি বিনা দ্বিধায়
কমরেডের জন্য আমার কবিতা পেতে দেই।
কমরেড নিজের জায়গায় থাকুন
তোমার কবিতা থাকুক কবিতায়।
তুমি তাঁকে বারবার কবিতায় নিয়ে আস কেন?
আমি বলি, তিনি আমার ভালোবাসা হয়ে
দিন আর রাতের মতো
সারা দিনের ক্লান্তির পরে
চোখের পাতায় ঘুমের মতো সহজভাবে
বিনা ঘোষণায়, শ্লোগানের হাত না ধরেই
নিজেই আমার কবিতায় এসে যান।
আমার আনতে হয় না।
ধর, আমি লিখছি, তিনি সদ্যগঠিত একটি পংক্তির গায়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন।
পকেট থেকে সিগারেট বার করে ধূমপান করতে থাকেন। আমার দিকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী এগিয়ে আসে, আমার ভালো লাগে না।
রেগে গিয়ে বলি, জানেন না সিগারেট
এক ধারাবাহিক খুনী!
ওটা ফেলে দিন এখনি।
কমরেড সজোরে হেসে ওঠেন।
বলেন, রাজনীতির অসহ্য উদ্বেগ ভুলে থাকতে
কী আছে উপায়? তাই ধূমপান করি।
ধোঁয়া'র পেছন পেছন কাঁকড়া আসতে পেরে
জেনেও ছাড়তে পারি না।
বুঝেশুনে আমার খুব কষ্ট হয়।
বলি, বসুন আমার পাশে।
সেই দক্ষিণ কলকাতা থেকে অনেক দিন পরে
এলেন এই অবহেলিত উত্তরে।
জানেনই তো আমি কত কমরেড-কাতুরে।
দু'জনেই হেসে উঠি। আমি ওঁর দিকে ডান হাত
বাড়িয়ে দিই। উনি ধরে নেন।
তারপরে ছড়ানো ছিটনো অক্ষর, শব্দ, পংক্তি, দাঁড়ি-কমা ইত্যাদির মাঝখান দিয়ে
রাস্তা বার করে নিয়ে যৌথ ভবিষ্যৎহীনতার দিকে সানন্দে হাঁটতে শুরু করি আমরা।
উনি আনন্দের পুরুষ আর আমি তখন
ওঁকে পাশে পেয়ে সুখেস্বস্তিতে ডানাছাড়া পরী।
আমাদের ভালোবাসার আগামীকাল আছে
কিন্তু কোনোভাবেই ভবিষ্যৎ নেই।
হিসেবনিকেশের ব্যর্থতা'র পরেও
আমাদের ভেতরের মাধুর্য হারায় না খেই।
আমি বিনা দ্বিধায়
কমরেডের জন্য আমার কবিতা পেতে দেই।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৭৪ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন