মঙ্গল-মার্স, সূর্যের কাছ থেকে দূরত্বে চতুর্থ গ্রহ তুমি
পৃথিবীর মতোই ভূপৃষ্ঠ খানিক, শক্ত ও প্রস্তরময় ভূমি
তোমার মৃত্তিকার সঙ্গে লোহা মিশে রঙ পেলে লাল
ভূমি ও বায়ুমণ্ডল তোমার গাঢ় লোহিত বর্ণের জাল
রোমানদের যুদ্ধদেবতা মার্স, তাঁর থেকে তোমার নাম এ হেন
যুদ্ধের সাথে তোমাকে প্রাচীন কাল থেকে জড়ানো হয় জেনো
ফোবোস ও ডেইমোস নামে দুটি চাঁদ তোমার রয়েছে
এ দু’টি যুদ্ধদেবের ঘোড়া বলে প্রাচীন রোমানকথা কয়েছে
প্রবল ধুলোর ঝড় হয় তোমার ভেতরে, চলে মাসের পর মাস
সব মিলিয়ে মঙ্গল তোমাতে অনেক বিস্ময়তথ্যের বাস।
তোমাকে দেখে উষ্ণতার বিভ্রম হয় কিন্তু আসলে তুমি বড়ই শীতল
গড় তাপমাত্রা তোমার মাইনাস বাষট্টি ডিগ্রি, হিম-হিম অতল!
তোমার একটি দিবস চব্বিশ ঘন্টার সামান্য বেশি
এ ব্যাপারে পৃথিবীর সঙ্গে রয়েছে সাদৃশ্য রেশই
আর তোমার এক বছর পৃথিবীর ছশো সাতাশি দিনের সমান
মঙ্গলবাসী হ’লে আমাদের দু’ বছরে একবার জন্মদিন করতাম!
লালগ্রহ, অনেকটা বড় তোমার বছর পৃথিবীর তুলনায়
ও দিকে তোমার মহাকর্ষ বল দুর্বল ধরার চেয়ে, বিজ্ঞান জানায়
তোমার বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন আছে তবে পরিমাণে ক্ষীণ
যায় যদি কখনো মানুষ, বাঁচবে না বাড়তি প্রাণদায়ী গ্যাস বিহীন।
আজ অবধি পাঁচটি অনুসন্ধানী রোভার তোমার পৃষ্ঠে পাঠিয়েছে নাসা
পঞ্চমটি কিউরিওসিটি রোভার, সমানে তোমার মাটি খুঁড়ে চলে খাসা
দুহাজার আঠেরোতে কিউরিওসিটি পেয়েছে বেশ কিছু নিদর্শন এমন
যা বলে, এক সময়ে মঙ্গল, তোমার মধ্যেও আছিল জীবন!
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন