ভাড়া বাসার ছোট্ট ঘরে, জীবন কাটে একলা,
মায়ের রান্নার মিষ্টি স্বাদ আজ স্মৃতির ছলা।
রান্নাঘরে নিজেই বসি, হাত পুড়ে যায় হরদম,
মশলার ঘ্রাণে হারায় মন, তবু নেই কেউ অনুপম।
ঘড়ির কাঁটা চলে বেপরোয়া, সকাল হয় দ্রুত,
একাকী ঘুম ভাঙে, চারপাশে নেই কেউ মৃদু।
বাজারের ব্যাগ কাঁধে, ঘুরে বেড়াই বাজারে,
মাছ-সবজির দাম শুনে, মাথা ঘোরে বারবারে।
পড়ার টেবিল ভাঙা চেয়ারে, স্বপ্ন বুনতে বসি,
তবু বুকে জমে ব্যথা, চোখে ঝরে জলধসি।
বন্ধুরা সব দূরে দূরে, সময় নেই কারো,
একাকী রাত কাটে শুধু স্মৃতির আলোছায়ো।
পোশাকগুলো নিজেই ধুই, রোদে দিই শুকোতে,
মনের ঝড় থামে না, কেউ নেই কথা শোনাতে।
ভাতের সাথে ডাল কিংবা আলু ভাজি হয় সঙ্গী,
তবু মন খোঁজে মায়ের হাতের মিঠে রান্নার গঙ্গী।
বিদ্যুৎ চলে যায় হঠাৎ, ঘামে ভিজে যায় মন,
ছোট্ট পাখার বাতাসে, কাটে জীবনের ক্রন্দন।
উৎসবগুলো আসে যায়, আনন্দ লাগে ফাঁকা,
ঘরে কেউ নেই যে ডাকে, “খাওয়ার সময় হয়েছে কাকা।”
কিছু স্বপ্ন পুষি বুকে, পথ চলার সাথী হয়ে,
জীবন এক কঠিন পাঠ, শিখি ধৈর্য বয়ে।
ব্যাচেলর জীবনের গল্প, কষ্ট আর সংগ্রাম,
এই জীবনেই তো হয় বড়, ভবিষ্যতের সন্ধান।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন