জীবন তত্ত্ব

ভাস্কর চৌধুরী ভাস্কর চৌধুরী

ভরাট জীবন শাক পাতা ফুল, বৃক্ষবন, পাখির কুজন
বাড়ির উঠোনে শিশু, রাতের বাসি কাপড় শুকাচ্ছে বৌ
শিশির পড়েছিলো , টিন বেয়ে টপ টপ নিচে পড়ছে
পৌষের দিন, ভেজা অনুভব, মিঠে লাগে উঠোনে রোদ
সম্মেলন, অতঃপর সংসার, সংশয়হীন প্রভাতিক স্নান
সূর্যপ্রনাম , বাইরে পথে ধান ভরা গরুগাড়ি, পোয়াল
আসছে
ধানের বদলে কেনাকাটা ,
কে যায় ? রাতের রাস্তায়?

কেউ যায়, অনেকেই যায়, যাওয়ার নিয়ম আছে
বৃদ্ধটি শীতে মরে গেলো, লাশ যায় পুত্রের সোয়ারী
পিতা যায়, মাতা যায়, গাছের পাতা যায় নীরব কলরবে
নীরব কলরব বুকের ভেতর বাজে, সকাল ও সাঁঝে
--বাজে
তোমার ছায়া আসে, ধীরে , বুকের উপরে- ধীরে
কি যায়? আলোর ছায়া-- মেঘ-- ফুল ভেসে যায়
পদ্মায় গঙ্গায়, পুজোর বিষ্ঠা সব, বর্জ্য ভেসে যায়
কণ্ঠের সুর বর্জ্য হয় গানে, ভালোবাসা বর্জ্য হয় প্রাণে
দক্ষিণ হওয়ায় ভেসে যায় আয়াতের সকরুণ সুর
মৃত বলে, আর কতো দূর? আর কতো দূর?
দূর নেই, বুকের ভেতর সব থাকে, জীবন ঘৃণা ছাড়ে

ভালোবাসা অথবা ঘৃণা কোনো অনুভব নয়
মানুষের মূল অনুভব মনে হয় কেবলই মানুষ।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৩১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন